ব্যাটিং ব্যর্থতার সমাধান বাংলাদেশ কবে খুঁজে পাবে, তা অনুমান করাও কঠিন। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি; কোনো ফরম্যাটেই স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করতে পারছে না নাজমুল শান্তের দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরেকবার হারের মুখ দেখল টাইগাররা। তাতে ৪ বছর পর টেস্ট জিতলো জিম্বাবুয়ে।

ক্রেইগ আরভিনদের জয়ের কারণে ম্লান হয়েছে মিরাজের কীর্তি। টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ক্রিকেটার। নতুন এই কীর্তিতে নাম লেখাতে মিরাজের খেলতে হয়েছে ৫২ ম্যাচ, বল করেছেন ৯১ ইনিংস। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে ২০০ উইকেটে নাম লেখাতে মিরাজের প্রয়োজন ছিলো ১০ উইকেট। কিন্তু প্রথম ম্যাচের উভয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।

টানা দুই ইনিংসে ফাইফার নেওয়া মিরাজ পেয়েছেন ১০ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে ৩ বার এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মেহেদি মিরাজ। যা বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ। এ মাইলফলকে শীর্ষে মিরাজ ছাড়িয়েছেন সাকিব-তাইজুলকে।

ভারত সিরিজের পর সাদা পোশাকে না খেলা সাকিবের ১২১ ইনিংসে উইকেট সংখ্যা ২৪৬টি। যা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। তবে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র ২ বার দশ উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দশ উইকেট নেওয়ার পর ২০১৭ সালে অজিদের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েন তিনি।

সাকিবের পরে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তাইজুল ইসলাম। ৯৩টি টেস্ট ইনিংসে তার মোট শিকার ২১৯ উইকেট। তবে সাকিবের মতো মাত্র ২ বার দশ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তাইজুল। সিলেটে সাকিব-তাইজুলকে পেছনে ফেলে তৃতীয়বারের মতো দশ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আসন পাতলেন  মিরাজ।

উল্লেখ্য, এর আগে ইংল্যান্ড এবং ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে এক ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন মেহেদী মিরাজ। উভয় ম্যাচই মিরপুরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার মিরপুরের বাইরে সিলেটের মাটিতে ১০ উইকেট পেলেন ২৭ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার।

এমআই