ওয়ানডেতে গত কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশকে সমীহ করতো বিশ্ব ক্রিকেট। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ ছিল প্রতিপক্ষের আতঙ্ক। সেই বাংলাদেশ গত এক বছরে ওয়ানডেতে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতেছে। টেস্ট, টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য আসলেও ওয়ানডেতে নিয়মিতই পিছিয়ে পড়ছে টাইগাররা।

৫০ ওভারের ক্রিকেটে জয় সংকটের প্রভাব পড়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। প্রায় দুই দশক পর আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে সবশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে ছিল টাইগাররা। ওয়ানডেতে নিয়মিত পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে নিয়ে এবার শঙ্কায় পড়েছে বিশ্লেষকেরা।

সবশেষ দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল নাজুক। ২০১৯ ও ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ের আশা নিয়ে পাড়ি জমালেও বাংলাদেশ মোটে ২টি করে ম্যাচ জিতেছে। এবার ২০২৭ বিশ্বকাপ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তায় লাল-সবুজের দল। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে বাংলাদেশের সামনে নতুন সমীকরণ।

৩১ মার্চ ২০২৭ সালের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটের মধ্যে না থাকতে পারলে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে না শান্তরা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বাছাইপর্বের বাধা টপকাতে হবে। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের উন্নতি করতে পারলে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আগেভাগে পরিকল্পনা করতে হবে বলে মনে করছেন দুই সাবেক নির্বাচক।

সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পেতে বাংলাদেশকে শীর্ষ আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। সম্প্রতি পারফরম্যান্স মোটেই ভালো না। র‍্যাঙ্কিংয়ে দশে নামাটা ভালো লক্ষণ নয়। এখান থেকে আরও পিছিয়ে গেলে খুবই কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য।’

তিনি যোগ করেন, ‘১২ মাসে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এখনই সাবধান হতে হবে। এই অবস্থা থেকে উত্তীর্ণ হতে না পারলে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে।’

আরেক নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, ‘ভালো ক্রিকেট খেলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এখন ভালো জায়গায় নেই। দল স্থিতি অবস্থায় নেই। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অবসরে চলে যাওয়ায় কিছু জায়গা ফাঁকা হয়ে গেছে। একটা দলে স্থিতিতে আনতে হলে সময় দরকার।’

সম্প্রতি নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়ানো এ ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘পারফরমারদের তুলে আনতে হবে। যারা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দলে জায়গা করে নেবে, এমন ক্রিকেটারদের দরকার। এক্ষেত্রে নির্বাচকদের ভূমিকা আছে। সব কিছুই পরিকল্পনার মধ্যে এনে এগোতে হবে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। নতুন র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, আসালাঙ্কার দল রয়েছে চতুর্থ স্থানে। তালিকার উচ্চ সারির দলকে তাদের ঘরের মাটিতে হারাতে পারলেই র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে বাংলাদেশের। তবে সেই সাফল্য অর্জন করতে আগে বাংলাদেশকে জয়ের ধারায় ফিরতে হবে।

এমআই