
বাংলাদেশের ক্রিকেট পিছিয়ে পড়ার কারণ তাহলে এই!
খেলা ডেস্ক
০৯ জুন ২০২৫, ১৯:২২
সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিটন-শান্তদের। ক্রিকেটের প্রতি ফরম্যাটে নাস্তানাবুদ অবস্থা পার করছেন টাইগাররা। সম্প্রতি আরব আমিরাতে বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে পরাজয়, ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ তা-ই প্রমাণ করছে।
ঈদের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি লিটনের দল। শাদাব খানের বিপক্ষে ফ্লাট পিচে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছেন তারা। ঈদ উদযাপন শেষে আগামী ১৩ জুন শ্রীলঙ্কায় উড়াল দিচ্ছে বাংলাদেশ দল। আট বছর পর সেখানে পূর্ণাঙ্গ সফরে যাচ্ছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলতে গেলেও বাংলাদেশকে নিয়ে তেমন প্রত্যাশা রাখার সুযোগ নেই। লিটনদের পড়ন্ত পারফরম্যান্স ভক্তদের আস্থার জায়গা হারিয়েছে। তবে ক্রিকেটারদের হঠাৎ এমন পিছিয়ে পড়ার কারণ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করেছেন সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক।
তার মতে, দেশি কোচদের যথাযথ সুযোগ না দেওয়ায় দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে বড় ধরনের গ্যাপ থেকেই যাচ্ছে। ফলে জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা একটা সময় গিয়ে বেশ সংগ্রাম করেন। এই সংগ্রাম থেকে উত্তরণে দেশি কোচদের পাশে না পাওয়ায় মানসিক ও টেকনিক্যাল উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েন টাইগাররা।
রফিক বলেন, ‘ক্রিকেটের যে মেধা আমার আছে, সেটা আমি আমার দেশকে দিতে পারছি না। যদি সুযোগ হয়, দেশের জন্য করতে পারব ও দিতে পারব। কিন্তু আমরা যে কাজটা করব, একটা বিদেশি খেলোয়াড় কিন্তু ওই কাজটা করবে না। অনেক বিদেশি কোচ আসছে-যাচ্ছে। তাদের শিডিউল থাকে ২-৩ ঘণ্টার’
রফিকের মতে, ক্রিকেটারদের মানসিক ও টেকনিক্যাল উন্নয়নে নিবিড়ভাবে সময় দেওয়াই পারে একজন কোচের আসল শক্তি হয়ে উঠতে। আর সে কাজটি দেশি কোচদের মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
বিদেশি কোচদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কিন্তু শিডিউল থাকবে না, দেখা যাবে আমরা সারাদিন ওদের সাথে কাজ করব। ওরা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়লে তখন সেটা আমরা রিকভার করতে পারব। এই জায়গায় এখন অনেক গ্যাপ আছে। যখন দেশি কোচরা দায়িত্ব নিবেন, তখন এই কাজগুলো হবে।’
নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে রফিক আরও বলেন, ‘যেমন আমি নিজে অনুভব করি, আমি সারাদিন কাজ করব। কারণ আমার কাজই এটা। কিন্তু বিদেশি কোচ কিন্তু ২-৩ ঘণ্টা ৭-৮ জন খেলোয়াড়কে দিলে ওই সময়ে কি রিকভারি হবে? এখানেই আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।’
এমআই