
উইন্ডিজকে হারাল বাংলাদেশ, টিকে রইল বিশ্বকাপের আশা
খেলা ডেস্ক
২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৮
বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুর্বলতা ব্যাটিং। সেটা যেই পর্যায়ের ক্রিকেট হোক না কেন, ব্যাটিং ব্যর্থতায় বরাবরই পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একই দুর্বলতায় ভুগেছে নারী ক্রিকেট দল। নিয়মিত উইকেট হারানোর বিরতির মাঝে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে ক্যারিবিয়ান নারীদের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৮৪ রান।
স্বল্প রানের পুঁজিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের শঙ্কা দেখা গিয়েছিল। তবে সেটাকেই যেন শক্তি বানিয়ে ফেলল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। স্পিন ঘূর্ণিতে স্বাগতিক উইন্ডিজকে বেঁধে ফেলল ১২৪ রানে। আর তাতে ৬০ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বকাপের স্বপ্নটাও টিকে রইল আরও এক দিনের জন্য।
টাইগ্রেসদের শক্তির জায়গা টপ অর্ডারের ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও টপ অর্ডার থেকে ভালো শুরু পেয়েছে টাইগ্রেসরা। উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছে ৩৫ রান। ১৮ রান করা ফারজানা হক পিংকির বিদায়ের পর অবশ্য কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার মুরশিদা ১২ আর তিনে নামা শারমিন বিদায় নেন ১১ রানে।
দলের বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার। তার ৬৮ রানের ইনিংসই দলকে দিশা দিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত। তাকে কিছুটা সময় সঙ্গ দিয়েছেন সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তাররা। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৩ ও ২১ রান। বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার আগে তুলতে পারে ১৮৪ রান।
উইন্ডিজের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন কারিশমা রামহারক, তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩ উইকেট যায় আলিয়া এলিনের ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট শিকার করেন দিয়েন্দ্রা ডটিন, শেরি-অ্যান ফ্রেজার ও আফি ফ্লেচার।
ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে না পারলেও বোলিং ইনিংসে বাংলাদেশ ছিল দুর্দান্ত। উইন্ডিজ ইনিংসের কাউকেই সে অর্থে দাঁড়াতে দেয়নি টাইগ্রেসরা। শেমেইন ক্যাম্পবেলের ২৮ রানই ছিল স্বাগতিকদের জন্য সর্বোচ্চ। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ফিরেছেন ১৬ রান করে। শেষদিকে শেরি অ্যান-ফ্রেজার এবং কারিশমা রামহারাকের ব্যাট থেকে এসেছিল যথাক্রমে ১৮ এবং ১৩ রানের ইনিংস। যদিও সেটা হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের জয় এখনো বিশ্বকাপের আশা জিইয়ে রেখেছে। তাতে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলে নিউজিল্যান্ডকে বাছাইপর্বে ঠেলে বিশ্বকাপের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ।
এমআই