
চার বছর পর ড্র, জয় নেই পাঁচ বছর
খেলা ডেস্ক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৪১
আশি ও নব্বইয়ের দশকে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ ছিল ফুটবলের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সময়ের বিবর্তনে সেই চিত্রে এসেছে পরিবর্তন। নেপালের বিপক্ষে সর্বশেষ জয় ছিল পাঁচ বছর আগে, আর সর্বশেষ ড্রও চার বছর আগে। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ গোলশূন্য ড্র করেছে।
দুই দলই আগামী মাসে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে। তার আগে এই ফিফা উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই আয়োজিত হয়েছে ম্যাচটি। তবে প্রথম ম্যাচে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। ফলাফল—পয়েন্ট ভাগাভাগি।
২০২১ সালে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের জন্য অঘোষিত সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচে জয় পেলে ফাইনাল নিশ্চিত হতো জামাল ভূঁইয়াদের। তবে ড্র করায় নেপালই ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়। একই বছরের মার্চে কাঠমান্ডুতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালেও নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।
২০২২ সালে সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের ড্র কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশকে।
একাধিক সুযোগ পেয়েও নেপালের বিপক্ষে গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ #BangladeshFootball
Posted by Khela.com on Saturday, September 6, 2025
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা মেলেনি। ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে তৈরি হয়েছিল সবচেয়ে সহজ সুযোগটি। ডান প্রান্ত থেকে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো-ইন ধরতে নেপালের গোলরক্ষক কিরণ চেমজোং বক্স ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হন। তবে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে পারেননি বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ তুলনামূলক গোছানো ফুটবল খেলে। বল দখল, পাসিং এবং পরিকল্পনায় উন্নতির ছাপ ছিল। অন্যদিকে, নেপালের ঘরোয়া লিগ বন্ধ থাকায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে ক্লাব ফুটবল খেলেননি দেশটির অধিকাংশ ফুটবলার। তবে তারা প্রায় দেড় মাসের প্রস্তুতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুলনামূলক ভালো ফুটবলই খেলেছে।
দশরথ স্টেডিয়াম নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এএফসি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এই স্টেডিয়াম উপযুক্ত নয়। সাম্প্রতিক রোদ-বৃষ্টির কারণে মাঠ ভারী হয়ে পড়ে, যার প্রভাব ম্যাচের গতিতে স্পষ্ট ছিল। ম্যাচ চলাকালে নেপালের কয়েকজন ফুটবলার মাঠে পড়ে আঘাতও পান, যদিও বড় কোনো ইনজুরি হয়নি।
বাংলাদেশের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা এই ম্যাচে ছিলেন না। তার পরিবর্তে অভিষেক ম্যাচে গোলবার সামলান সুজন হোসেন। যদিও নেপাল আক্রমণ করেছে, কিন্তু পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফলে সুজনের জন্য ম্যাচটি ছিল অপেক্ষাকৃত চাপহীন।
দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। প্রস্তুতি পর্বে এই ম্যাচটিও হবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাঁচ বছর জয়হীনতার রেকর্ড এবারও ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ।
এমআই