
দুই যুগ পর বাংলাদেশের এমন লজ্জার দিন
খেলা ডেস্ক
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২২
‘আমরা যেন আলাদা না করি– জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকা... প্রতিটি ম্যাচই আন্তর্জাতিক ম্যাচ’– সিলেটে ম্যাচ শুরুর আগে বলছিলেন শান্ত। জিম্বাবুয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এমন একটা আভাসও দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাঠের ক্রিকেটে তার দলের সতীর্থরা যেন সেই কথার মান রাখতেই বেশ ব্যস্ত। টেস্টের প্রথম দিনে শীর্ষ ব্যাটারদের প্রত্যেকেই হতাশ করেছেন দর্শকদের।
সিলেটে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থতার মিছিলে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিক দল। এর আগে ২০০১ সালে এমন এক দিন দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকায় সেদিন বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৭ রানে।
এরপর আর কখনোই দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২০০ এর নিচে অলআউট হয়নি টাইগাররা। সেটা হলো একেবারে দুই যুগ পর এসে। সিলেটে খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ের চূড়ান্ত রূপ দেখিয়ে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশ অবশ্য খুব একটা আশাবাদী ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ৩১ রানে ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ৩২ রানে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন নিয়াগুচির বলে। দুজনেই ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। দলের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। এই জুটি বাংলাদেশের স্কোর টেনে নিয়েছিল ৯৮ রান পর্যন্ত।
৬৬ রানের ওই জুটি ভাঙে লাঞ্চের পর। আর সেটাই ছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুর বার্তা। শান্ত আউট হন ব্লেসিং মুজারাবানির ফাঁদে পা দিয়ে। শর্ট লেন্থ আর ফুল লেন্থের ধারাবাহিক বোলিংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ৪০ রান করে থামেন শান্ত। তবে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। এর মাঝে অবশ্য মুশফিকুর রহিম ফিরে যান ওয়েলিংটন মাসাকাদজার নিরীহ দর্শন বলে।
দলীয় ১২৩ রান থেকে পরের ১৪ রান তুলতে আরও ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকের পর ব্যক্তিগত ৫৬ রানে মুমিনুল আর ১ রানে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১৪৬ রানে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা তাইজুল ফিরে গেলে বড় স্কোরের সম্ভাবনাও মিলিয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য।
১৯১ রানে বিব্রতকর পরিসংখ্যান
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর
সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪র্থ সর্বনিম্ন সংগ্রহ
স্কোরবোর্ড ভদ্রস্থ করার কাজটা এরপর করেছেন হাসান মাহমুদ এবং জাকের আলী অনিক। ৮ম উইকেটে দুজনের জুটি ৪১ রানের। হাসান মাহমুদ এগুচ্ছিলেন ভালোই। কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানির কাছে হার মানতে হয় তাকে। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৯ রান করে। দলের স্কোর ১৮৭।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষটা করেন ওয়েসলি মাধেভেরে। দলীয় ১৯১ রানে জাকের আলী অনিক এবং নাহিদ রানা ফেরেন চার বলের ব্যবধানে। মুজারাবানি ও মাসাকাদজা পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি করে উইকেটে নিয়াগুচি এবং মাধেভেরের।