
এনসিএল টি-টোয়েন্টির শুরুর দুই ম্যাচেই ৭৬৫ রান!
খেলা ডেস্ক
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৪
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের একমাত্র অবলম্বন ছিল বিপিএল। দেশি ক্রিকেটারের পাশাপাশি এ টুর্নামেন্টে খেলতো বিদেশিরা। প্রতিযোগিতার কারণে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলা অধিকাংশ খেলোয়াড়রাই বিপিএলে থাকতেন না। তাতে ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতি আর টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতির জন্য দেশিদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলাদা টুর্নামেন্টের দাবি জানিয়ে আসছিলেন ক্রিকেটাররা। অবশেষে সেই দাবি আশার আলো দেখেছে।
চলতি বছরে এনসিএলের দলগুলো নিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করেছে বিসিবি। আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটের মূল এবং আউটার স্টেডিয়ামে। দৃষ্টিনন্দন সিলেট স্টেডিয়ামে রান বন্যার সুখ্যাতি রয়েছে। আউটার স্টেডিয়ামও মন্দ নয়। তাতে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটাররা রানার পাহাড় গড়েছেন।
ঢাকা মেট্রো এবং বরিশাল বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টির এবারের মিশন শুরু হয়। প্রথম ইনিংসেই নাইম শেখ ও ইমরানুজ্জামানের ফিফটিতে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পায় ঢাকা মেট্রো। জবাবে ফজলে মাহমুদের ৭৭ রানের ইনিংসে ১৬১ রানে থামে বরিশাল বিভাগ। ঢাকা মেট্রো ৩১ রানে জিতলেও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন উভয় দলের ব্যাটাররা।
সিলেটের মূল স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামে সিলেট ও ঢাকা বিভাগ। ওপেনার জিসান আলমের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ২০৫ রান তুলে সিলেট। জবাবে শুরু থেকেই মারকুটে ছিলেন ঢাকার ব্যাটাররা। টপ অর্ডার ব্যাটার আরিফুলের ৯৪ রানের ইনিংসে ভর করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছায় সাইফ হাসানের দল। তাতে শেষ ওভারে ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ বলে ১২ রান।
বোলার তোফায়েলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল ঢাকার। কিন্তু ওভারের শেষ বলে ফুলটস দিয়ে বসেন তোফায়েল। অভিজ্ঞ শোভাগত হোম সুযোগটি মিস করেননি। ইনসাউড আউট শটে ডিপ মিড এক্সটা কাভারের ওপর দিয়ে বল পাঠান বাউন্ডারি লাইনের বাহিরে। তাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ঢাকা।
ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগের জয়ে এনসিএলের প্রথম দুই ম্যাচে রান বন্যা দেখেছে দর্শকেরা। চার অর্ধশতক এবং এক শতকে দুই ম্যাচে হয়েছে ৭৬৫ রান।
এমআই