Advertisement
Us Bangla Airlines
মুস্তাফিজের রেকর্ডগড়া ম্যাচ জিতে আসর শেষ করল দিল্লি

মুস্তাফিজের রেকর্ডগড়া ম্যাচ জিতে আসর শেষ করল দিল্লি

খেলা ডেস্ক

২৫ মে ২০২৫, ১৩:২৩

নিশ্চিতভাবে মাত্র তিনটি ম্যাচের জন্য এবারের আইপিএলে ডাক পেয়েছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ভাগ্য সহায় হলে ম্যাচসংখ্যা আরও বাড়তে পারত। তবে ব্যক্তিগতভাবে খারাপ কাটেনি এই কাটার মাস্টারের। চলতি আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ‍মুস্তাফিজ আইপিএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন। তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসও শেষটা করল জয় দিয়ে।

জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) দিল্লি ও পাঞ্জাব কিংস উভয়েই লিগপর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে। শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব আইপিএলের প্লে-অফে ওঠায় তাদের জন্য আসরের আরও লড়াই বাকি। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ৮ উইকেটে ২০৬ রান তোলে। যা ৩ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে দিল্লি।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দিল্লির সাফল্যের শুরুটা করেন মুস্তাফিজ। নিজের প্রথম ও ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই তিনি পাঞ্জাবের ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যকে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। ইনিংসের শেষ উইকেটটাও ফিজের দখলেই গেছে। এর আগে ১৬তম ওভারে তার বলে ত্রিস্তান স্টাবসকে ক্যাচ দেন শশাঙ্ক সিং। এর মাধ্যমে এতদিন আইপিএলে বাংলাদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডগড়া সাকিবকে ছাড়িয়ে যান ফিজ। শেষ ওভারে তিনি মার্কো জানসেনকে ফিরিয়ে সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নেন। আইপিএলে ৬০ ইনিংসে মুস্তাফিজের শিকার ৬৫ উইকেট।

বাংলাদেশি তারকার রেকর্ডের দিনে ম্যাচটাও নিজেদের করে নেয় দিল্লি। যেখানে তাদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক আইয়ার। ৩৪ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। শেষদিকে ১৬ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মার্কাস স্টয়নিস। এ ছাড়া জশ ইংলিসের ১২ বলে ৩২ ও প্রভসিমরান সিংয়ের ২৮ রানের সুবাদে বড় পুঁজি পেয়ে যায় পাঞ্জাব। দিল্লির পক্ষে ফিজের ৩ শিকার ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও ভিপরাজ নিগাম।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই সঠিক কক্ষপথে ছিল দিল্লি। অবশ্য ভালো শুরুর পরও দলীয় ৫১ রানেই তারা ওপেনিংয়ে নামা লোকেশ রাহুলকে হারায়। ভারতীয় এই তারকা ২১ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করেন। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও (১৫ বলে ২৩) আউট হয়ে যান দ্রুতই। এরপর অভিষিক্ত আফগান তরুণ সেদিকউল্লাহ অটল ২২ রানে ফিরলেও, দিল্লিকে আর দুশ্চিন্তায় পড়তে দেননি করুন নায়ার ও সামির রিজভীরা। নায়ার ৭ বছর পর জাতীয় দলে ফেরার দিনে ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন।

তবে দিল্লিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর মূল নায়ক রিজভী। তরুণ এই ব্যাটার নিজের ফিফটি পাওয়ার দিনে দৃষ্টিনন্দন কিছু শট খেলেছেন। ২৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৫৮ রানেই নিশ্চিত করেছেন জয়। এ ছাড়া তাকে সঙ্গ দেওয়া স্টাবস ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.৩ ওভারে আসরের শেষ ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে দিল্লি। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন হারপ্রিত ব্রার।