Advertisement
Us Bangla Airlines
টানা ৫ সেঞ্চুরিতে উইলিয়ামসনের বিশ্ব রেকর্ড!

টানা ৫ সেঞ্চুরিতে উইলিয়ামসনের বিশ্ব রেকর্ড!

খেলা ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২২

সাদা পোশাকে বর্তমান বিশ্বে সেরাদের একজন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কাপ্তান কেইন উইলিয়ামসন। বিরাট কোহলি, জো রুট, স্টিভেন স্মিথ ও কেইন উইলিয়ামসন- এ চারজনকে সময়ের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘ফ্যাব ফোর’ বলা হয় ক্রিকেটপাড়ায়। রান, সেঞ্চুরিতে সম্প্রতি জো রুট সমানতালে এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়েছেন বাকি তিনজন।

অস্ট্রেলিয়ায় চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিউইদের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছেন জো রুট। দিন কয়েক পর ব্রিসবেনে ভারতের বিপক্ষে চলতি বছরের প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ। তিনজনের অর্জনের মাঝে উইলিয়ামসন আর কত পিছিয়ে থাকবেন?

স্মিথের একদিন পরেই হ্যামিলটনে শতক পেলেন কিউই তারকা। চলতি বছরে এটা তার তৃতীয় শতক। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। সেটাও হ্যামিলটনের সেডন পার্ক স্টেডিয়ামে। এ ভেন্যুতে খেলা সবশেষ ৫ টেস্ট ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন এ ডানহাতি তারকা। তাতেই হয়েছে বিশ্ব রেকর্ড।

নির্দিষ্ট ভেন্যুতে টানা পাঁচ ম্যাচে ৫টি শতক হাঁকানোর রেকর্ড এখন কেইন উইলিয়ামসনের দখলে। সারা বিশ্বে এমন রেকর্ড আর কারো নেই। তবে একটি ভেন্যুতে টানা চারটি শতক হাঁকানোর রেকর্ড আছে বিশ্বের ১৪ জন ব্যাটারের দখলে। টেস্ট ক্রিকেটের কিংবদন্তি তারকা স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান, মেলবোর্ন এবং লিডসে টানা চারটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার তাঁকেও ছাড়িয়ে গেলেন উইলিয়ামসন।

সেডন পার্কে গত ১৬ ডিসেম্বর ইংলিশদের বিপক্ষে ১৫৬ রান করেছেন কিউইদের সাবেক অধিনায়ক। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১৩৩ রান। ২০২০ সালে সেডন পার্কে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ২৫১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন ফ্যাব ফোরের এ সদস্য। এর আগে ২০১৯ সালে এ মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ২০০ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হার না মানা ১০৪ রান করেছিলেন এ ব্যাটার।

এদিকে ইংলিশদের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরিতে অর্জনের খাতায় আরেক ধাপ এগিয়েছেন কেইন উইলিয়ামসন। ক্রিকেটের জেন্টেলম্যান হিসেবে খ্যাত এ ব্যাটারের বর্তমানে সেঞ্চুরি সংখ্যা ৩৩, যার ৭টি এসেছে সেডন পার্কে। এ ভেন্যুতে সবশেষ ৫ ম্যাচে পেয়েছেন টানা শতকের দেখা।

এমআই