
মেট্রোর জয়ের রথ থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
খেলা ডেস্ক
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৫
‘সাতে সাত’- জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব শেষে এভাবেই শিরোনাম হয়েছিল ঢাকা মেট্রো। কারণ, গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচেই হারেনি এ দল। অপরাজিত দল হিসেবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় সরাসরি কোয়ালিফায়ার-১ এ খেলেছে নাইম শেখের দল। তবে মেট্রোর জয়ের রথ এবার থামিয়ে দিল রংপুর। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকা মহানগরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এনসিএলের ফাইনালে উঠেছে আকবর আলীরা।
গ্রুপে পর্বে শীর্ষস্থানে থাকায় অবশ্য ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ পাবে ঢাকা মেট্রো। আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনার বিপক্ষে খেলবে তারা। এলিমিনেটরে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে চট্টগ্রামকে বিদায় করে শিরোপা অর্জনের লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়েছে খুলনা। এর আগে গ্রুপ পর্বের সাক্ষাতে খুলনাকে ৬ রানে হারিয়েছিল ঢাকা মহানগর।
এদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে ঢাকা মেট্রো। নিচু ও মন্থর উইকেটে নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলায় ৯ উইকেটে ১০৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা মেট্রো। তাদের পক্ষে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরানউজ্জামান। এ ছাড়া ২৪ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
ম্যাচের শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করেছিল ঢাকার ব্যাটাররা। ৪.১ ওভারে দলীয় ২৪ রানেই ফেরেন অধিনায়ক নাঈম শেখ। ১২ বলে মাত্র ১১ রান করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আসা-যাওয়ার মিছিল করেছেন সাদমান ইসলাম (১৩), শামসুর রহমান শুভ (০) ও মার্শাল আইয়ুবরা (৩)। ততক্ষণ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রাখা ইমরানউজ্জামানও দম হারিয়ে ফিরলেন ধীরগতির ইনিংস খেলে। ৪২ বল খেলে এ ব্যাটার করেছেন ৩০ রান।
পরে সপ্তম উইকেট জুটি আমিনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ২০ বলে ৩৪ রান তোলেন আবু হায়দার রনি। রনি ৮ বলে ১৬ এবং আমিনুল ২৪ বলে ২৩ রান করলে মেট্রোর দলীয় পুঁজি একশ পেরোয়। ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১০৭ রান। বিপরীতে রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন রবিউল ইসলাম। আলাউদ্দিন বাবু নেন ২ উইকেট।
মন্থর উইকেটে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরকে যে পরীক্ষা দিতে হবে সেটি অনুমেয় ছিল। ৭.২ ওভারে ৩৮ রান তুলতেই তারা ২ উইকেট হারায়। সমান ১৭ রান করে ফিরেছেন দুই ওপেনার চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। মেট্রোর দুই বোলার রকিবুল হাসান ও আলিস আল ইসলাম তাদের রানের টুঁটি চেপে ধরেন। পরবর্তীতে অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম (১৬), আকবর আলিও (৭) দলের জন্য কার্যকর ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আরিফুলের পর আলাউদ্দিন বাবুও আউট হলে হারের শঙ্কায় পড়ে রংপুর। তবে মিডল অর্ডারে নামা তানবির হায়দার (২৬ বল) ও আরিফুল হক (২০ বল) সমান ২২ রান করলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উত্তরবঙ্গের দলটি। ফলে চার বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় বাগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আকবর আলীর দল। মেট্রোর হয়ে ২টি উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম।
এমআই