স্বীকৃত ক্রিকেটটা সবশেষ খেলেছিলেন ২০০১ সালে। এরপর আর ব্যাট-প্যাড নিয়ে মাঠে নামেননি আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বরং ব্যাট-বলের পরিবর্তে ম্যাচ পরিচালনায় মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। তবুও দীর্ঘ ২৪ বছর পর কীভাবে ফিফটি হাঁকালেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ ম্যাচ খেলা এই সাবেক ক্রিকেটার?

সৈকত ফিফটি মেরেছেন তাঁর আম্পায়ারিং পেশা দিয়ে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গতকাল (১৭ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং কিংসের ম্যাচ পরিচালনার মধ্য দিয়ে ছুঁয়েছেন অর্ধশতক ম্যাচ পরিচালনার কীর্তি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য এই রেকর্ড অনেক আগেই পার করেছেন আইসিসির এলিট আম্পায়ার।

চলতি বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্ব দিয়ে আম্পায়ারিং শুরু করেছেন শরফুদ্দৌলা। এলিট প্যানেলে থাকায় বিপিএল থেকে এবার রেকর্ড সম্মানি পাচ্ছেন এই আম্পায়ার। বিপিএলের বরাদ্দ অনুযায়ী, বিসিবি থেকে ম্যাচ প্রতি ২০০০ ডলার পাবেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, দেশি আম্পায়ারদের বিবেচনায় ৫ গুণ বেশি অর্থ পাচ্ছেন এ আম্পায়ার।

ম্যাচ পরিচালনায় এত টাকা পেয়েও দেশি আম্পায়ারদের থেকে বেশ পিছিয়ে আছেন সৈকত। বিপিএলে আম্পায়ারিং করার তালিকায় সৈকতের অবস্থান সপ্তম। এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন মাহফুজুর রহমান। তালিকার শীর্ষে থাকা এ আম্পায়ারকে চেনার কথা। ঘরোয়া লিগে সাকিবের লাথি কাণ্ডের ম্যাচে ছিলেন এ আম্পায়ার। ওই ম্যাচে মাহফুজকে আঙুল তুলে শাসিয়েছিলেন সাকিব। বিপিএলে এ আম্পায়ার পরিচালনা করেছেন ৮৯ ম্যাচ।

আম্পায়ারিংয়ের তালিকায় মাহফুজের পরেই আছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচের নিয়মিত মুখ মাসুদুর রহমান মুকুল। বিপিএলে ৮৭ ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তালিকায় তৃতীয়স্থানে থাকা তানভীর আহমেদে বিপিএলে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ৬৪ ম্যাচ। এরপরেই আছেন দুই বিদেশি আম্পায়ার র‌্যানমোর মার্টিনেজ এবং ডেভিড মিলনস।

উল্লেখ্য, ডারবানে শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় আসা শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত ইতোমধ্যে তিন সংস্করণে ১৩১টি ম্যাচ আম্পায়ারিং করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হাফ সেঞ্চুরি পার করা এই আম্পায়ার এবার বিপিএলে ছুঁয়েছেন ম্যাচ পরিচালনার অর্ধশতক।

এমআই