
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের, তবুও দুশ্চিন্তা!
খেলা ডেস্ক
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫০
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কায় চার ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতার বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে ওঠেছে। এবার বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচেও দেখা গেল একই চিত্র। স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। যদিও শেষমেশ জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে যুব টাইগ্রেসরা।
মালয়েশিয়ার ইউকেএম ক্রিকেট ওভালে এদিন বাংলাদেশের বোলিং তাণ্ডবে ৫২ রানের বেশি যেতে পারেনি নেপাল। জবাবে ৫ উইকেট হারালেও ৪০ বল হাতে রেখেই জয় তুলেছে লাল-সবুজের দল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন সাদিয়া ইসলাম। কিন্তু সহজ জয়ের দিনেও বাংলাদেশ দলে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এ জয়কে বড় মনে হলেও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মাত্র ১১ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় টাইগ্রেসরা। এমনকি অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারও দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১২ রানে ক্যাচ তুলে নিয়ে বিদায় নেন তিনি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে মেয়েদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছিলেন কোর সরওয়ার ইমরান। নেপালের সাথে যেন ব্যর্থতার কঙ্কাল ফুটে ওঠেছে।
ব্যাটিংয়ে এলোমেলো হলেও বল হাতে দুর্দান্ত টাইগ্রেসদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিং তাণ্ডব চালায় জান্নাত, সোবারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেন টাইগ্রেস বোলাররা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ উইকেট নেন মাওয়া। একটি করে উইকেট নেন আনিসা আক্তার সোবা, ফাহমিদা ছোঁয়া আর নিশিতা আক্তার।
নেপালের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ওপেনার সানা পারভীন। জান্নাতুল মাওয়ার বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছিলেন ১৯ রান। এছাড়া আরেক নেপালি ব্যাটার সীমানা কেসি করেছিলেন ১০ রান। নেপালের বাকি কোনো ব্যাটার আর দুই অঙ্কের সংখ্যা স্পর্শ করতে পারেননি।
এদিকে শুভ সূচনা পাওয়া বাংলাদেশের সামনে এবার অস্ট্রেলিয়া। ২০ জানুয়ারি অজি মেয়েদের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। এরপর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সুমাইয়ারা খেলবেন ২২ জানুয়ারি।
এমআই