Advertisement
Us Bangla Airlines
বাংলাদেশের বিপক্ষেও এমন পরাজয় দেখেছিল আফগানরা

বাংলাদেশের বিপক্ষেও এমন পরাজয় দেখেছিল আফগানরা

খেলা ডেস্ক

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩০

বড় স্বপ্নের গল্প শুনিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসর শুরু করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্রত্যাশার বেলুন চুপসে গিয়েছে তাদের। করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৭ রানে হেরেছে রশিদ-নবীরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচ তো বটেই, আইসিসির এই টুর্নামেন্টে দলের অভিষেকটা রাঙাতে পারেনি আফগানিস্তান।

টি-টোয়েন্টিতে আশা জাগানিয়া আফগানিস্তানকে নিয়ে ওয়ানডে টুর্নামেন্টে বাজি ধরেছিল রিকি পন্টিং, বীরেন্দ্র শেওয়াগের মতো ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা। এমনকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গত আসরে শিরোপা জয়ী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও মনে করেছেন আফগানিস্তান সেমিফাইনাল খেলবে। কিন্তু প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তার ব্যাটিং ব্যর্থতা খুব একটা ভরসা দিতে পারছে না।

গতকাল করাচিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ৬ উইকেটে ৩১৫ রান। ৩১৬ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্যে নামা আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ৪৩.৩ ওভারে ২০৮ রানে। রহমত শাহর ৯০ রান ছাড়া আর কোনো আফগান ব্যাটারের ২০ রানের ইনিংসও ছিল না। ম্যাচ শেষে ১০৭ রানের পরাজয় বরণ করে আফগানিস্তান। 

আইসিসি টুর্নামেন্টে এর আগেও চারবার ১০০ বা তার বেশি রানের ব্যবধানে হেরেছিল আফগানিস্তান। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে মোহাম্মদ নবীর দলকে ১০৫ রানে হারিয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সেবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিল আফগানিস্তান। 

বিশ্বকাপে অভিষেকের আসরে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২৭৫ রানে হেরেছিল আফগানরা। যা এখন পর্যন্ত আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টে আফগানদের সবচেয়ে বেশি রানে হারের রেকর্ড। এছাড়া ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ১০০-এর বেশি রানের ব্যবধানে পরাজয় বরণের রেকর্ড রয়েছে আফগানদের।

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে ১৫০ রানে হেরেছিল আফগানিস্তান। এছাড়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে আফগানদের ১৪৯ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

এমআই