Advertisement
Us Bangla Airlines
‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগ্রসর-উন্নতি না দেখে অবাক লাগে’

‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগ্রসর-উন্নতি না দেখে অবাক লাগে’

খেলা ডেস্ক

০৬ মার্চ ২০২৫, ০০:০৫

ওয়ানডে ক্রিকেট কয়েকবছর আগেও বাংলাদেশকে সমীহ করে চলতো বাকি দেশগুলো। স্বাগতিক বাংলাদেশ হলে তো কথাই নেই, সিরিজ জয় নিয়ে টানাটানি লেগে যেত বাকি দেশগুলোর। বিশ্ব ক্রিকেটে কোনো দেশের উত্থান আসে বড় মঞ্চের ফলাফল দেখে। ২০১৫ সালে সেটাই করে দেখিয়েছেন মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দল।

বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। মাস কয়েক পরেই মোস্তাফিজের ভেলকিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। এরপর প্রোটিয়াদেরও ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল মাশরাফির দল।

‘জিম্বাবুয়ে হওয়ার পথে বাংলাদেশ’

বছরখানেক পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশ। এরপর লম্বা সময় ওয়ানডে ফরম্যাটে ৭ম স্থানে নিজেদের নামটা অক্ষত রেখেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুধু ওয়ানডে নয়, ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো ক্রিকেটের বড় পরাশক্তির দলকে টেস্টেও টাইগাররা নাস্তানাবুদ করেছিল।

ওয়ানডেতে সমীহ করার মতো দল হয়ে ওঠা সেই বাংলাদেশ বর্তমানে নখদন্তহীন। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে টাইগারদের অবস্থান বেশ পিছিয়ে পড়েছে। সবশেষ ৬ সিরিজের ৫টাতেই হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে নবম স্থানে অবস্থান করেছে। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একটি জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

টাইগারদের ক্রিকেটে অগ্রসর-উন্নতি না দেখে অবাক হচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমল। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট আমি দেখি। আমি নিজেও বাংলাদেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, বিপিএলে খেলেছি। আমার অবাক লাগে, দলটা ওপরের দিকে যেতে যেতে কেন একটা জায়গায় হঠাৎ থেমে গেল! বাংলাদেশের ক্রিকেট ভালো চলছে বলেই জানি। খেলোয়াড়েরা বিপিএল এবং অন্যান্য বিদেশি লিগে খেলছে। তাহলে কেন তারা এগোচ্ছে না?’

‘বাংলাদেশ এখনো ১৫ বছরের পুরনো ক্রিকেট খেলছে’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির পথও বাতলে দিয়েছেন কামরান আকমল। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটা দল হয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ক্রিকেট কোনো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের খেলা নয়। এ ছাড়া ঘরোয়া চার দিনের ক্রিকেটটা কঠিন কন্ডিশনে হওয়া উচিত। সিমিং কন্ডিশনে খেলতে হবে। মিরপুরের বাইরের ভেন্যুগুলোয় ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশন ও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের উইকেট বানিয়ে খেলাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেটটা খেলোয়াড়েরা কীভাবে খেলছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। লাল বলের ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিলে অন্য সংস্করণেও উন্নতি আসবে। সবাই এখন টি-টোয়েন্টি নিয়েই ভাবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটেও সেটাই সমস্যা মনে হচ্ছে।’

ফর্মহীন মুশফিক তবুও ব্যাট হাতে যেখানে শীর্ষে

দেশের বাকি ক্রিকেটারদের মাঝে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফির অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। তাদের মতে বাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডবকে ঘরোয়া ক্রিকেটে কাজে লাগাতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালো ভবিষ্যতের জন্যই তাদের (পঞ্চপাণ্ডব) অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগানো উচিত। এরা সবাই ভালো পারফরমার, চাপের মধ্যে দেশের ক্রিকেটকে ভালো কিছু এনে দিতে পেরেছে। তাদের কাছ থেকে সেটাই শিখতে হবে অন্যদের, যাতে তাদের শূন্যতা পূরণ করতে পারে। প্রয়োজনে ক্যাম্প আয়োজন করে তাদের একসঙ্গে রেখে অভিজ্ঞতা বিনিময় করাতে হবে।’

এমআই