
অভিজ্ঞতা থেকে দল ইদানীং লাভবান হচ্ছে না, দাবি নাজমুলের
খেলা ডেস্ক
০৮ মার্চ ২০২৫, ১৬:১১
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অভিজ্ঞতার বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাইশ গজে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি। উল্টো গ্রুপ পর্ব থেকে শূন্য হাতে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। অভিজ্ঞতার বিচারে দলে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন না যারা, সেই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আত্মসমর্পণ ছিলো বেশ দৃষ্টিকটু।
মুশফিক-রিয়াদ ছাড়াও দলের বাকিদের অভিজ্ঞতা কম নয়। সৌম্য, শান্ত, মিরাজেরা জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন প্রতিনিধিত্ব করলেও ম্যাচ জেতানোর মতো কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। এমনকি অলরাউন্ডার মিরাজ থেকে যতটা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ, তার ছিটেফোঁটাও দেখা মিলেনি গত কয়েক ওয়ানডে ম্যাচে।
অভিজ্ঞতার বিচারে দল এগিয়ে থাকলেও তা যে বাংলাদেশকে সম্প্রতি খুব একটা সুবিধা দিচ্ছে না, বিষয়টি স্বীকার করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতা, দলীয় পরিবেশ, অভিজ্ঞতার ব্যর্থতা নিয়ে মন্তব্য করেন।
দলের পিছিয়ে পড়ার ইস্যুতে শান্ত টেনেছেন অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমরা ভালো করতাম কারণ দলে ৪-৫ জন সিনিয়র খেলোয়াড় ছিলেন যারা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতেন। এখনো অনেকে ৮-১০ বছর ধরে খেলছে, কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা থেকে দলগতভাবে লাভবান হওয়া হচ্ছে না।’
ওয়ানডেতে ভালো না করার আরেকটি কারণ উল্লেখ করেছেন শান্ত। সেটা আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করতে না পারা। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আগে ২৮০ রান ভালো স্কোর ধরা হতো, এখন নিয়মিত ৩৫০ রান তোলা হয়। আমরা এখনো ২৫০-২৭০ রান গড় স্কোর ধরে রাখছি, যা বদলাতে হবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রসঙ্গে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ক্রিকেটে কিছুই নিশ্চিত নয়, ১০০ ওভারের খেলায় যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। আমরা কেবল অংশগ্রহণ করার জন্য সেখানে যাইনি। বরং টুর্নামেন্টটিতে অবদান রাখার প্রবল ইচ্ছা ছিল সবার—হোক সেটা ড্রেসিংরুমে, লাঞ্চ বা ডিনারের সময়, কিংবা অনুশীলনে। ইতিবাচক আলোচনা চলছিল এবং দলের ভেতরে বিশ্বাস বাড়ছিল।’
শান্তদের আত্মবিশ্বাস আর ইতিবাচক দিক থাকলেও মাঠে তা দেখা যায়নি। বরং ব্যাট হাতে উভয় ম্যাচে বাকিদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখা গিয়েছে। তাতে গ্রুপ পর্বে খেলা দুই ম্যাচেই হেরেছে নাজমুল শান্তের দল।
এমআই