ফুটবল পাড়ায় গত এক বছরে বড় পরিবর্তন দেখেছেন হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এ খেলোয়াড় বছরের শুরুটা ডাগআউটে বসে পার করছেন। বাজে ফর্ম আর টিম কম্বিনেশনের কারনে লেস্টার সিটির শুরুর একাদশে জায়গা মিলেনি তার। এর মাঝেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণে দৌড়ঝাঁপ করেছেন হামজা।

লেস্টার সিটিতে নিজের খেই হারিয়ে ফেলা হামজাকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে পাঠায় তার ক্লাব। সেখানেই যেন পুরনো হামজাকে টেনে এনেছেন শেফিল্ড কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলা হামজাকে কখনো সেন্টার মিডফিল্ড, কখনো রাইটব্যাকে খেলিয়েছেন এ কোচ। তাতে হামজা থেকে যেন তার সেরাটা বের করতে পেরেছেন তিনি।

নিজেকে ফিরে পাওয়া হামজা এর মাঝেই স্বপ্ন পূরণের গল্প লিখেছেন। গত ২৫ মার্চ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। বাংলাদেশের জার্সিতে ভারতের বিপক্ষে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই ফুটবলার। এরপর ক্লাবে ফিরেও একই ধারাবহিকতা বজায় রেখেছেন বাংলাদেশের হামজা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এবার পেলেন সুখবর।

স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক ডেভ ট্রিহান এবং ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারদের স্কাউট জোহাইব রশিদের বর্ষসেরা দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার। বিগত কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের সব স্তরের ফুটবলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্রিটিশ-দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলারদের নিয়ে বর্ষসেরা একাদশ সাজিয়েছেন ডেভ ট্রিহান। 

সেই একাদশেই টানা দুই বছর সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন হামজা চৌধুরী। চলতি মৌসুমে শেফিল্ডের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদেই এই একাদশে জায়গা নিশ্চিত হলো তার। 

এমআই