Advertisement
Us Bangla Airlines
নেইমারের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে!

নেইমারের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে!

খেলা ডেস্ক

০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩

‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?’–কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কবিতার এই পংক্তিগুলোর সঙ্গে নিশ্চিত ভাবেই পরিচিত নন ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকা তারকা এই ফুটবলারও একদিক থেকে একমত অচেনা এই বাঙালি কবির সঙ্গে। দুঃখ বিনা কখনো সুখ আসে না। তবে দুঃখ দিয়েও কোনো কোনো সময় সুখ যে ধরা দেয় না সেটিরও উদাহরণ হতে পারেন ব্রাজিল তারকা।

ইনজুরি আর নেইমার যেন সমার্থক। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় ইনজুরিতে কাটানোর কারণে ব্রাজিলের হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট মিস করেছেন সেলেসাও তারকা। অথচ ফুটবলসম্রাট পেলের পর ব্রাজিলের বড় তারকা হতে পারতেন তিনি। এ নিয়ে অবশ্য আক্ষেপের অন্ত নেই ভক্ত-সমর্থকদেরও।

২০১৩ সালের কনফেডারেশন্স কাপ এবং ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক এখন পর্যন্ত নেইমারের ক্যারিয়ারে বড় প্রাপ্তি হয়ে আছে। ২০১৯ সালে ব্রাজিল কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতলেও ইনজুরির কারণে সেই স্কোয়াডে ছিলেন না নেইমার। 

গত বছর এসিএল ইনজুরিতে পড়ার পর দীর্ঘ এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমার জুনিয়রকে। পুনর্বাসন শেষে গত মাসেই ফিরেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে। অনেকেই যখন আরও একবার মাঠে নেইমারের ফেরা উদযাপনের অপেক্ষায়, তখনই আরও একবার ইনজুরিতে পড়লেন এই ব্রাজিলিয়ান। নেইমারের দশা যেন রবী ঠাকুরের হঠাৎ দেখা কবিতায় প্রেমিকের মতো, ‘আমাদের গেছে যে দিন, একেবারেই কি গেছে!’ 

প্রত্যাবর্তনের পর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ফের ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় নেইমার। ইস্তেঘাল এফসির বিপক্ষে ম্যাচ শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। মাঠে নামার ৩০ মিনিট পরেই উঠে যেতে হয় তাকে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন তিনি। তবে নেইমার হতাশার মাঝেও বড় খবর, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইস্তেঘাল এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আল হিলাল। সার্বিয়ান তারকা আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ করেছেন হ্যাটট্রিক।

ম্যাচের ফলের চেয়ে অবশ্য বড় হয়ে উঠেছে নেইমারের ইনজুরিটাই। ডান পায়ের পেছনের দিকে চোট পেয়েছেন। যন্ত্রণায় শুয়ে পড়েন মাঠে। বাধ্য হয়ে আল হিলালের কোচ তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন। এক বছর পর মাঠে ফিরে দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ৪২ মিনিট খেলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

জানা গেছে,উরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। এই ইনজুরি কতটা মারাত্মক তা এখনও পরিষ্কার নয়। ফলে মাঠে ফিরতে তার ঠিক কতদিন লাগবে তাও নিশ্চিত নয়। সাধারণ মাংসপেশির চোটে অবশ্য তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্যই মাঠের বাইরে থাকতে হয় খেলোয়াড়দের।

তবে নেইমার তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন। ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে লিখেছেন, 'আশা করি, এটা বড় কিছু নয়...এটা স্বাভাবিক যে এক বছর পর মাঠে নামলে এমনটা হয়, চিকিৎসক আমাকে আগেই সতর্ক করেছিল, তাই আমার সতর্ক থাকতে হবে এবং আরও বেশি মিনিট খেলতে হবে।'

সৌদি প্রো লিগের স্কোয়াডে না থাকায় আগামী দুই ম্যাচ নেইমার এমনিতেও খেলতে পারতেন না। নেইমারের ভাষ্য অনুযায়ী, খুব বড় ইনজুরিতে তাকে পড়তে হয়নি। সেক্ষেত্রে আগামী ২৬ নভেম্বর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল সাদের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাকে।

এফআই