
কেন নিষিদ্ধ হলেন মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন?
খেলা ডেস্ক
০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭
জনপ্রিয়তায় বিশ্ব সেরাদের একজন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। বিশ্বসেরা ফুটবলারকে ছুঁয়ে দেখতে, একটা সেলফি তুলতে প্রায়ই দর্শকদের মাঠে নেমে পড়তে দেখা যায়। এতে নিরাপত্তা শঙ্কায় ২০২৩ সালে দেহরক্ষী নিয়োগ দিয়েছেন মেসি। ফলে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলার সময় দেহরক্ষী ইয়াসিন সুকোকে নিয়মিত সাইডলাইনে দেখা যায়।
কালো পোশাক পরা সেই দেহরক্ষী মেসিকে দিনের ২৪ ঘণ্টাই নিরাপত্তার চাদরে রাখতেন। এমনকি মেসির পরিবারকেও নিরাপত্তা দিত ইয়াসিনের ৫০ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। খেলার মাঠে এই দেহরক্ষীর কার্যক্রম বেশি দেখা যেত। মেসির প্রতিটি কদমই যেন পর্যবেক্ষনে রাখতেন ইয়াসিন।
আর্জেন্টাইন তারকাকে ছুঁতে কোনো ভক্ত মাঠে নামলেই নিরাপত্তা বাহিনীর আগেই তাকে আটকে পেলেন এই দেহরক্ষী। তবে সেই ইয়াসিন চুকোকেই এবার নিষিদ্ধ করছে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কর্তৃপক্ষ। ফলে এমএলএস ও কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচে মাঠে থাকতে পারবেন না কালো পোশাক পরিহিত এই দেহরক্ষী।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা ও ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কম এই তথ্য জানিয়েছে। মাঠে থাকতে না পারলেও মিক্সড জোন এবং মেসির ড্রেসিংরুমের পাশে অবস্থান করতে পারবেন ইয়াসিন। তবে মাঠে নামতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় নাখোশ হয়েছেন মেসির দেহরক্ষী।
— B/R Football (@brfootball) April 1, 2025
তিনি বলেন, ‘ওরা (আয়োজকেরা) আর আমাকে মাঠে থাকতে দেবে না। আমি সাত বছর ইউরোপে ছিলাম। লিগ ওয়ান (ফ্রান্সের লিগ) এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাজ করেছি। সেই সময় মাত্র ৬ জন মাঠে ঢুকতে পেরেছিল। আমেরিকায় আসার পর মাত্র ২০ মাসেই ১৬ জন মাঠে ঢুকে পড়েছে। এটা এখানে বড় সমস্যা। আমি মেসিকে সাহায্য করতে চাই।’
এমএলএসের নিয়ম অনুযায়ী, খেলা চলাকালীন খেলোয়াড়, কোচ ও রেফারিই কেবল মাঠে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু, চুকো হুটহাট মাঠে ঢুকে যেতেন। গত বছর মেক্সিকান ক্লাব মোন্তেরেইয়ের বিপক্ষে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চোটে পড়েন মেসি। সেই সময় মাঠে ঢুকে রেফারির একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এছাড়া, মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে এবং তাকে ছুঁয়ে দেখতে মাঠে প্রায়ই ঢুকে পড়েন দর্শক। তাদের সঙ্গে ইয়াসিনের আচরণও হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।
আমেরিকার মেজর লিগ সকার কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, মেসির নিরাপত্তার ব্যবস্থা তাদের নিরাপত্তারক্ষীরাই করবে। এজন্য আলাদা করে কোনও দেহরক্ষী রাখার দরকার নেই।
এমআই