এপ্রিলের শুরুতেই কলকাতার হয়ে ২০০ উইকেট নিয়েছিলেন সুনীল নারিন। এরপরই ওঠেছিল আলোচনা, নারিন কি এই মৌসুমেই বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন! এপ্রিলের শেষবেলায় ইতিহাস গড়েই বসলেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন নারিনের দখলে।

আইপিএলে ২০১২ সালে অভিষেক হয় এই ক্রিকেটারের। ক্যারিয়ারটা বোলার হিসেবে শুরু করলেও নারিন এখন অলরাউন্ডার। বল হাতে ব্যাটারদের টুঁটি চেপে ধরার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বোলারদের বড় পরীক্ষা নেন। আইপিএলে কলকাতার হয়ে ওপেনিং করেন এই অলরাউন্ডার। তবুও বোলার নারিনই বিশ্ব ক্রিকেটে বেশি সমাদৃত।

 
আইপিএলের অভিষেকের বছরেই ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৩ গড়ে ২৪ উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন সুনিল নারিন। এরপর টানা ১৩ মৌসুম এ ক্যারিবিয়ানকে ধরে রেখেছে শাহরুখ খানের দল। সবমিলিয়ে আইপিএলে কলকাতার হয়ে ১৮৬ ম্যাচ খেলে ১৯০ উইকেট শিকার করেছেন সুনীল নারিন। 

এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে কেকেআরের হয়ে দুই মৌসুম খেলা নারিনের ঝুলিতে রয়েছে আরও ১৮ উইকেট। সবমিলিয়ে কলকাতার জার্সিতে ২০৮ উইকেট নেওয়ার র্কীতি গড়েছেন এই ক্রিকেটার। তাতেই টি-টোয়েন্টিতে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে ওঠেছেন তিনি।

এ তালিকায় ২০৮টি উইকেট নিয়ে নারিনের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটার সামিত প্যাটেল। ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব নটিংহামশায়ারের হয়ে এই রেকর্ড গড়েছেন এই স্পিনার। 

২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নটিংহামশায়ারের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সামিত প্যাটেল। গেল বছর নটিংহাম ছেড়ে ডার্বিশায়ারে নাম লিখিয়েছেন তিনি। ফলে এক দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তোলার ২০৮ সংখ্যায় থমকে দাঁড়িয়েছে। তাতে সামিতকে টপকে যেতে নারিনের সামনে শুধু এখন সময়ের ব্যবধান।

সামিত প্যাটেলকে টপকে বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারলেও নারিনের স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। কারণ, এই রেকর্ড ছুঁতে ক্যারিবিয়ান বোলারের পেছনেই অপেক্ষা করছেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ক্রিস উড। ২০১০ সাল থেকে ইংলিশদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হ্যাম্পশায়ারের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৯৯ উইকেট তুলেছেন তিনি। ফলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষস্থান দখলে নারিন এবং উডের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলবে। 

এমআই