সিলেটের ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে পুরো পায়দাটাই নিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট হাতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল টাইগাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারালেও চার-ছয়ের বন্যায় স্কোরবোর্ডে ৩৪৪ রানের বড় সংগ্রহ তুলে নুরুল হাসান সোহানের দল।

বড় সংগ্রহ তাড়া করতে গিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল কিউইরা। তবে  বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলিং তোপে হঠাৎ কিউই শিবিরে ধস নামে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। ফলে ৮৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বিজয়-সোহানরা।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শুরুর দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পাওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৭ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। তাতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ‘এ’ দল সিরিজ নিশ্চিত করেছে। 

এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৪৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল। দিনের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশ দলের জন্য। ব্যক্তিগত ৮ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় এবং নাঈম শেখ। 

দুব্যক্তিগত ৪০ রানে ফেরেন নাঈম, এরপর ৩৯ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বিজয়ও। পরবর্তীতে স্বাগতিকদের পথ দেখান নুরুল হাসান সোহান এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পুঁজিও বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে দুই জনই তুলে নেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। 

সোহান শতক হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ১১২ রানে ফিরলে ভাঙে ২২৫ রানের জুটি। তখনও ব্যাট হাতে লড়েন অঙ্কন। ইনিংসের শেষ ওভারে অঙ্কন ১০৫ রান করে বিদায় নেন। এ ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ১৩ রানের পর ৫ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক।

জবাবে নিউজিল্যান্ডের হয়ে একমাত্র ব্যাটার ডেল ফিলিপস বড় রানের ইনিংস খেলেছেন। টাইগার বোলারদের শুরু থেকেই চেপে ধরেন এই ওপেনার। একপ্রান্ত আগলে রেখে করেন ৭৯ রানের ইনিংস। শেষদিকে মিচ হেসের ৩৮ এবং ক্রিস্টিয়ান ক্লার্কের অপরাজিত ৩৯ রানে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে কিউইরা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

এমআই