ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের প্রভাব এবার ক্রিকেটাঙ্গনেও পড়েছে। গতকাল স্থানীয় সময় সকালে রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের ড্রোন হামলায় স্থগিত করা হয়েছে পিএসএলের ম্যাচ। রাতে ভারতের ধর্মশালায় পাকিস্তানের হামলার গুঞ্জনে খেলার মাঝপথেই বন্ধ করা হয় আইপিএলের ম্যাচ।

দুই দেশের চরম উত্তেজনার মাঝে পিএসএলের ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে পিসিবি। গুঞ্জন ছিল, কাতারের দোহা বা আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পিএসএলের বাকি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে আরব আমিরাতের দিকেই ঝুঁকছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

পিসিবি জানায়, পিএসএলের অবশিষ্ট আট ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু নতুন করে ঠিক করা হবে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে সময়সূচি। এছাড়া গতকাল করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির নির্ধারিত ম্যাচ স্থগিত করার পর জরুরি সভায় বসে পিসিবি। নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের বেশকিছু ড্রোন তাদের কয়েকটি শহরে আঘাত করেছে। বিপরীতে ভারতের ভাষ্য– বুধবার রাতে তাদের ভূখণ্ডে সামরিক হামলা চেষ্টার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এর আগেরদিন (মঙ্গলবার) ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরসহ ৯টি এলাকায়।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপার বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পূর্ব-সতর্কতার অংশ হিসেবে টুর্নামেন্টটি দেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। তারা পিএসএলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তার বিষয়টিই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এ ছাড়া ইতোমধ্যে যারা পিএসএলের আসন্ন ম্যাচগুলোর অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তাদের অর্থও ফিরিয়ে (রিফান্ড) দেওয়া হবে।

ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর তথ্যমতে– বিদেশি ক্রিকেটাররা ইতোমধ্যেই পাকিস্তান ছেড়ে আরব আমিরাতের পথে আছেন। কয়েকদিন পরই সেখানে টুর্নামেন্টটির বাকি অংশ অনুষ্ঠিত হবে, এই মুহূর্তে পিসিবি ভেন্যু নির্ধারণের কাজ করছে। তবে এসব নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি পিসিবি।

এদিকে নিরাপত্তা শঙ্কায় আইপিএলের ভেন্যু পরিবর্তনের শঙ্কা জেগেছে। অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ভেন্যু নিয়ে কথা বলছে ভারত ক্রিকেট বোর্ড।

এমআই