
বিজয়ের দিনে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়
খেলা ডেস্ক
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৭
ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে বেশি রান জমা করতে পারেনি বাংলাদেশ। সৌম্য আর শামীম পাটোয়ারীর ব্যাটে চড়ে ১৪৭ রানের মাঝারি পুঁজি পায় টাইগাররা। তবে বোলিংয়ে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। ডানহাতি স্পিনার শেখ মাহেদী এবং তাসকিনের বোলিং নৈপুণ্যে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাঝে ক্যারিবিয়ান কাপ্তান রভমেন পাওয়েলের দায়িত্বশীল ফিফটিতে ম্যাচে নাটকীয়তা জন্ম দিলেও শেষ হাসিটা হাসে বাংলাদেশ দল।
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবসের ভোরে এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। বাংলাদেশের ১৪৭ রানের জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুতেই গড়বড় করে ফেলে ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। প্রথম তিন ওভারে মাত্র তিন রানের বিনিময়ে দুই উইকেট হারায় রভমেন পাওয়েলের দল।
তবে পরের ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ে তানজিম সাকিব ২৫ রান দিলেও ৫ম ওভারে ফ্লেচারের উইকেট তুলে নেন শেখ মাহেদী। সপ্তম ওভারে ক্যারিবিয়ানদের দুই উইকেট তুলে ম্যাচের মোড় বাংলাদেশের দিকে পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেন এ বোলার।
টাইগারদের হাতে থাকা ম্যাচে চোখ রাঙান ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাপ্তান রভমেন পাওয়েল। ম্যাচের ১৪, ১৫, ১৬তম ওভারে যথাক্রমে ১৫, ২৩, ১২ রান তুলে পাওয়েল-শেফার্ড জুটি। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ বলে ১৩ রান। তবে টানটান উত্তেজনার শেষ ওভারে বিধ্বংসী পাওয়েল আর আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। তাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল লিটনের দল।
বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট তুলে নেন শেখ মাহেদী। এছাড়া তাসকিন-হাসান জোড়া উইকেট এবং তানজিম-রিশাদ একটি করে উইকেট দখল করেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫ রানের মাথায় ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাইনারি সংখ্যায় ইদানীং রান করা ক্যাপ্টেন লিটন এদিনও ফিরেন শূন্য রানে। দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া আফিফের ব্যাট হাসেনি আজ। তবে ছন্দে থাকা সৌম্যর ব্যাটে সংগ্রহের ভিত গড়ে বাংলাদেশ। স্লগ ওভারে শামীম পাটোয়ারীর ঝড়ো ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ১৪৭ রান তুলে সিমন্সের শিষ্যরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সৌম্য সরকার। ১৩ বলে ২৭ রান করেন শামীম পাটোয়ারী। এছাড়া জাকের আলী এবং শেখ মেহেদী যথাক্রমে ২৭ এবং ২৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন।
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে আকিল হোসেন ৪ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া ম্যাককয় ২, রস্টন চেজ-শেফার্ড একটি করে উইকেট দখল করেন।
এমআই