
বিজয়ের মাসে এনামুলের ব্যাটে ২ সেঞ্চুরি
খেলা ডেস্ক
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৬
পুরো নাম এনামুল হক বিজয়। বিজয় দিবসে জন্ম বলেই এনামুল শেষে বিজয় জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে জন্মদিনের মাসটাকে যেন একটু বেশিই ভালোবাসে বিজয়ের ব্যাট। খেলার মাঠে এ মাসেই হেসেছিল তার ব্যাট, দিয়েছে নানান অর্জন। এমনকি জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা এসেছিল বিজয়ের মাসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর নিজের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পেয়েছিলেন প্রথম শতকের দেখা।
অফফর্মে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে এনামুল হক বিজয়। চলমান এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। এমনকি খুলনার হয়ে খেলা এ আসরে প্রথম চার ম্যাচে এনামুলের মোট রান ছিল ৪৬। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে জ্বলে উঠলেন এ ওপেনার। আজ সিলেটে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৬৭ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এনামুল হক বিজয়।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটা বিজয়ের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথমটি শতকটিও করেছিলেন এই মাঠে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ৬৩ বলে ১০৫ রান করেছিলেন বিজয়। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে করেছিলেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আবার দুটো সেঞ্চুরিই করেছেন বিজয়ের মাসে। তাতে মনে হতেই পারে, বিজয়ের ব্যাট যেন বিজয়ের মাসকে বেশি ভালোবাসেন।
বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ম্যাচটি অবশ্য ১৮ রানে জিতে নেয় খুলনা। ম্যাচে বিজয় ছাড়া খুলনায় হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। খুলনার দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা বিভাগ। মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে দলীয় ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সাইফ হাসানের দল। মাঝে তাইবুর রহমান ৬৩ এবং অঙ্কণ ৪৩ রান করলেও তা শুধু ব্যবধান বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এনামুলের এই ইনিংস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০০ করেছিলেন সিলেটের তরুণ ওপেনার জিসান আলম। সেই ম্যাচেই ৯৪ রানে আউট হন ঢাকার আরিফুল ইসলাম। অন্য ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল।
এমআই