ত্রিদেশীয় সিরিজে মোট সাত ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ অ-১৯ দল। ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্টের কারণে পাঁচ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন যুবা পেসার আল ফাহাদ। তবে ম্যাচ সংখ্যা কম হলেও উইকেটশিকারে সবার ওপরে ছিলেন তিনি। মাত্র পাঁচ ম্যাচেই ১৪ উইকেট শিকার করেছেন এই বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার!

বল হাতে ফাহাদ এমন মাঠে ঝলক দেখিয়েছেন, যেখানে কয়েক মাস পরেই বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের মাঠে প্রোটিয়া ও জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের বড় পরীক্ষা নিয়ে আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন পেসার ফাহাদ। ফ্লাইট ধরার আগে নিজের বোলিং নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

বিদেশের মাটিতে টানা তিন সিরিজ জয় নিয়ে ফাহাদ বলেন, ‘দেখুন আমরা পরপর তিনটা সিরিজ জিতলাম। সেগুলো কিন্তু আবার ডমিনেটিং করে জিতেছি। এই আত্মবিশ্বাসটা আমাদের অনেক কাজে দেবে। আমরা আগে থেকে প্লান করেছিলাম যে এই দুইটা সিরিজই এখানে জিতব। এখন সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’

দুই সিরিজেই বল হাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে ফাহাদ বলেন, ‘আমি সেভাবে কিছু ফিল করিনি। নিজের উপরে বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমি আমার সেরাটা দিতে পারব। তো ওটাই চেষ্টা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ সফল হয়েছি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্য থাকবে।’

সামনে বিশ্বকাপ। তার আগে সেই ভেন্যুতেই খেলা। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন হলো জানিয়ে ফাহাদ বলেন, ‘যেহেতু এই মাঠে বিশ্বকাপ হবে, আমাদের এই মাঠে খেলতে পারাটা একটা বড় অভিজ্ঞতা অর্জন হল। যা সামনে কাজে দেবে। এখানকার পরিবেশ, উইকেট সব কিছুর সাথে আমরা মানিয়ে নিয়েছিলাম।’

দুই সিরিজে উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়া নিয়ে ফাহাদের ভাষ্যে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাতে যখন আমরা খেলেছিলাম তখন উইকেট থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছিলাম। ওই উইকেটে বাউন্স ছিল, সুইং ছিল। কিন্তু যখন জিম্বাবুয়েতে আসলাম এখানে এরকম কিছুই ছিল না। এখানে বল করা একটু কঠিন ছিল, তবে আমরা প্রসেসের ভিতরেই ছিলাম।’

জাতীয় দলে খেলা নিয়ে ফাহাদ বললেন, ‘স্বপ্ন তো আছে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। যারা ক্রিকেটার সবারই খেলার স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে। আমার যদি মানে দক্ষতা থাকে বা দক্ষ হই তাহলে অবশ্যই আমি সুযোগ পাবো।’

এমআই