
কেঁদে কেঁদে আইসিসিকে জীবনের গল্প শোনালেন মারুফা
খেলা ডেস্ক
১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:০৯
দুর্দান্ত লাইন-লেন্থ আর অবিশ্বাস্য সুইং—বিশ্বকাপে রাজত্ব করছেন বাংলাদেশি পেসার মারুফা আক্তার। টাইগ্রেস পেসারের প্রশংসা করেছেন লাসিথ মালিঙ্গা, নাসের হুসেন, মিতালি রাজের মতো কিংবদন্তিরা। বিশ্ব কাঁপানো এই পেসারের জীবন অবশ্য এত সহজ ছিল না। আইসিসির এক ডকুমেন্টারিতে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন তিনি।
গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে প্রচারিত হয় আইসিসির একটি ভিডিও। সেখানেই উঠে আসে মারুফার শৈশবের দুঃখগাঁথা। মারুফা বলেন, “বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেতাম না। কারণ, আমাদের ভালো জামা-কাপড় ছিল না। লোকজন বলত, ‘তাদের ডাকা মানে সম্মানহানি।’ এমন কথাও শুনেছি নিজের কানে।”
নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম মারুফার। পরিবারে ছয় সদস্য, জমিজমা ছিল না। বাবাকে অন্যের জমিতে বর্গাচাষ করতে হতো। সেই দারিদ্র্যই তৈরি করে দিয়েছিল সমাজের একপ্রকার অদৃশ্য প্রাচীর। নিজের চোখের সামনে মাকে অপমানিত হতে দেখেছেন, সহ্য করেছেন নিরবতা আর অপমান।
কণ্ঠ ভারী করে ভিডিওতে মারুফা বলেন, “আব্বা যখন বাসায় থাকতেন না, তখন অনেকেই মাকে খারাপ খারাপ কথা বলত। এমন কিছু, যেগুলো মুখে বলা যায় না। মা কাঁদতেন। আমিও কাঁদতাম—ভাবতাম, আমার জন্য এত কিছু হচ্ছে।”
মারুফা আক্তার বর্তমানে বাংলাদেশ নারী দলের অন্যতম ভরসা। বয়স মাত্র ২০। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫৯ ম্যাচ (২৯ ওয়ানডে, ৩০ টি-টোয়েন্টি), উইকেট ৪৫টি। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন দলে। চলতি বিশ্বকাপেও সুইংয়ে ব্যাটারদের কাঁপন ছুটিয়েছেন তিনি।
এমআই