ব্যাট হাতে রোহিত শর্মার সময় একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। অবস্থা এমন যে, টপ অর্ডারের রোহিত যেন লেজের দিকের ব্যাটসম্যান। ওপেনিং বা মিডল অর্ডার- যখনই মাঠে যাচ্ছেন, খানিকপরেই মাথা নিচু করে রোহিতকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যানও রোহিতের এমন বাজে ফর্মের সাক্ষী দেবে। টেস্টে সবশেষ আট ইনিংসে ব্যাট হাতে একবার ২০ রানের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি এ ক্রিকেটার।

রোহিতের বিপরীতেই যেন অবস্থান নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যাটে বলে দলের জন্য সমানতালে অবদান রাখছেন এ অলরাউন্ডার। বোর্ডার-গাভারস্কার ট্রফিতে এখন পর্যন্ত ৬ ইনিংসে করেছেন ১০৮ রান, বল হাতে নিয়েছেন (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ১৬ উইকেট। এর মধ্যে অ্যাডিলেডে নিয়েছেন ফাইফার, ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন চার উইকেট।

কামিন্সের এসব উইকেটের মধ্যে একাধিকবার নিজেকে বিলিয়ে এসেছেন রোহিত শর্মা। চলতি সিরিজেই অজি কাপ্তানের বলে আউট হয়েছেন তিনবার। ওভালে বোল্ড, ব্রিসবেনে ক্যাচ হওয়ার পর সবশেষ মেলবোর্ন টেস্টে ওপেনিংয়ে নেমে কামিন্সের বলে ফের ক্যাচ আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক। 

রোহিতের উইকেট নেওয়ার পেছনে যতটা অবদান কামিন্সের, তারচেয়ে বেশি দোষের কবলে পড়বেন রোহিত। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলকে লেগ সাইডে টেনে পুল খেলতে গিয়ে আজ মিড অনে সহজ ক্যাচ দেন তিনি।

রোহিতের উইকেট বিলানোর ঘটনায় লাভটা হয়েছে অজি অধিনায়কের। ভারতীয় ক্যাপ্টেনকে চলমান সিরিজে তৃতীয়বারের মতো আউট করে নতুন কীর্তি গড়লেন এ অলরাউন্ডার। অধিনায়ক হিসেবে প্যাট কামিন্স এ নিয়ে পঞ্চমবার ভারত অধিনায়ককে আউট করলেন। টেস্ট ক্রিকেটে কোনো অধিনায়ক আরেক অধিনায়ককে এর চেয়ে বেশিবার আউট করতে পারেননি। 

টেস্ট ক্রিকেটে কামিন্সের বলে এ নিয়ে ৭ বার আউট হয়েছেন রোহিত। এর মধ্যে ৫ বারই আউট হয়েছেন দুজন অধিনায়ক থাকাবস্থায়। যার তিনবার আবার চলতি সিরিজে।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে রোহিতের আগে দুজন অধিনায়ককে অন্য অধিনায়কের বলে ৫ বার আউট হতে দেখেছে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড লড়াইয়ে ইংলিশ অধিনায়ক টেড ডেক্সটারকে ৫ বার আউট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার রিচি বেনো। আর ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে পাকিস্তানের ইমরান খানের বলে ৫ বার আউট হয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। এবার সেই দৌরাত্ম্যে যুক্ত হলেন রোহিত-কামিন্স।

এমআই