Advertisement
Us Bangla Airlines
১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেল শ্রীলঙ্কা

১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেল শ্রীলঙ্কা

খেলা ডেস্ক

০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৭

ম্যাচের ১৮তম ওভার। কিউই বোলার ম্যাট হ্যানরির বিপরীতে লঙ্কান সেট ব্যাটার কুশল পেরারা। ব্যাট হাতে তখন অপরাজিত ৭৯ রান করে শতকের হাতছানি দিচ্ছিলেন এ বাঁহাতি। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। তবে এক বল বিরতি দিয়ে বাকি দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিই করে ফেললেন এ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা কুশল পেরারার দ্বিতীয় শতক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম।

পেরারার শতকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রায় ১৩ বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১১ সালের আগস্টে পাল্লাকেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৭ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিলকারত্নে দিলশান। এটা লঙ্কানদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। প্রথম শতকটি এসেছিল মাহেলা জয়বর্ধনের হাত ধরে। ক্যারিবিয়ানদের মাটিতে ২০১০ সালে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১০০ রান করেছিলেন জয়বর্ধনে।

কুশল পেরারার সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় শতকের দেখা পেল লঙ্কান ক্রিকেট দল। তবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে পেরারার ইনিংসটি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে লঙ্কানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫ ইনিংসের ৪টিই সাবেক দুই তারকা দিলশান-জয়বর্ধনদের দখলে। লঙ্কান ক্রিকেটের এই দুই গ্রেটের পর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি পাথুম নিশানকার। যেটাও এসেছে কিউইদের বিপক্ষে চলতি সিরিজে। 

এদিকে ড্যারিয়েল মিচেলের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছেন কুশল পেরারা। যেখানে ১৩ বাউন্ডারির সাথে হাঁকিয়েছেন ৪টি ছক্কা। যার তিনটাই ম্যাট হ্যানরির ১৮তম ওভারে। কুশলের অনবদ্য শতকে ২১৮ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে আসালাঙ্কার দল। যা লঙ্কানদের বিশ ওভারের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬০ রান সংগ্রহ করেছিল দিলশান-জয়বর্ধনেরা।

কিউইদের বিপক্ষে শতকের পাশাপাশি নতুন রেকর্ডও গড়েছেন কুশল পেরারা। টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কান জার্সিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক কুশল খেলেছেন ১৬টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। কুশলের পেছনে রয়েছেন আরেক কুশল। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা জার্সিতে ১৫টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন কুশল মেন্ডিস।

এমআই