
আলিসের ওপর যে কারণে ভরসা রেখেছিল চিটাগং
খেলা ডেস্ক
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৫
বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুরু থেকেই খুলনাকে চেপে ধরেছিল চিটাগং কিংস। পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারালেও তেমন করে রান করতে পারেনি নাইম-মিরাজরা। তবে শেষদিকে ক্যারিবিয়ান ঝড় দেখিয়েছিলেন শিমরন হেটমায়ার। কার্যকরী ইনিংস খেলছিলেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কণ। তাতে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।
মিরাজদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ঠিক পথেই হাঁটছিল চট্টগ্রামের দলটি। খাজা নাফে এবং হুসাইন তালাতের ব্যাটে জয়টা যেন সহজই মনে হচ্ছিল মিথুনদের কাছে। কিন্তু সেখানে তাসের ঘরের মতো পরপর ৪ উইকেট হারায় চিটাগং কিংস। তাতেই পরাজয়ের শঙ্কা উঁকি দিয়েছিল। তবে সাহস রেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আলিস আল ইসলাম এবং আরাফাত সানি।
জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে কিংসদের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। সেখানে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। লেজের সারির ব্যাটারদের ১৫ রান করার বিষয়ে চিন্তিত ছিল চিটাগংয়ের ডাগআউট। কিন্তু প্রথম বলে মুশফিককে চার হাঁকিয়ে কাজটা সহজ করে দেন আরফাত সানি। কিন্তু শেষ ওভারের ৩য় বলে চোটে পড়েন আলিস আল ইসলাম। পায়ের ব্যথায় দৌড়াতে পারছিলেন না এই ব্যাটার।
আলিস মাঠ থেকে ওঠে গেলে ক্রিজে আসেন শরিফুল ইসলাম। ভাগ্য সহায়তায় তিনিও প্রথম বলে চার পেয়ে যান। কিন্তু পরের বলে বাউন্স সামলাতে গিয়ে কাটা পড়েন এই ব্যাটার। শরিফুল আউট হওয়ায় চিটাগংয়ের ভরসা করার মতো কেউই ছিল না। ফলে বাধ্য হয়ে মাঠে নামেন চোটাক্রান্ত আলিস আল ইসলাম। শেষ বলে আলিসের সামনে সমীকরণ ছিল ১ বলে ৪ রান।
এমন সমীকরণকে সামনে রেখে শেষ বলটা ফুল লেন্থে করেন খুলনার বোলার মুশফিক হাসান। সেটাকেই পুরো শক্তিতে কাভারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন আলিস। অবিশ্বাস্য জয়ে উড়তে থাকেন কিংসের খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ জিতিয়ে খুশির কান্নায় ভেঙে পড়েন আলিস নিজেও। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি জানান, আত্মবিশ্বাস থেকেই শেষ বলে বাউন্ডারি পেয়েছেন।
আলিসের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের ওপর শেষ পর্যন্ত ভরসা রেখেছিল চিটাগং কিংস ম্যানেজম্যান্ট। ম্যাচ শেষে চিটাগংয়ের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা খাজা নাফেও জানিয়েছিলেন একই কথা।
আলিসকে নিয়ে নাফে বলেন, ‘দলের ভরসা ছিল আলিসের উপর। আগের ম্যাচগুলোতেও সে কিছু না কিছু রান করেছে। ফলে সবার বিশ্বাস ছিল সে ছক্কা মেরে দিতে পারবে। ফলে তার উপর আমরা ভরসা করেছিলাম। পায়ে ব্যথা পেয়েছিল সে, ফলে রান নিতে পারবে না। এরপর শরিফুল (ইসলাম) গিয়ে চার মারলো। শেষদিকে আলিসই ছিল একমাত্র অপশন। আমরা ভেবেছিলাম (রান নিতে না পারলেও) গিয়ে ছক্কা মেরে দিক।’
এমআই