
দেশিদের ওপর ভরসা চিটাগংয়ের, ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
খেলা ডেস্ক
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৭
বরিশালের সাথে ম্যাচ জিতে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছিল চিটাগং কিংস। সেই বরিশালের সাথে হেরে এবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে মিথুনের দল। পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুইয়ে থাকায় ফাইনাল খেলতে আরেকটু সুযোগ পাচ্ছে চিটাগং কিংস। তবে এ ম্যাচে যে দল হারবে, তারাই বাদ পড়বে। এমন কঠিন সমীকরণে প্রতিপক্ষ হিসেবে খুলনা টাইগার্সকে পাচ্ছে বন্দর নগরীর দলটি।
বিপিএলে মাঝের পর্বটা ভালো না হলেও শেষবেলায় দুর্দান্ত ফর্মে আছে তালহা জুবায়েরের শিষ্যরা। বাঁচা-মরার সবশেষ তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে খুলনার দলটি। এমনকি চলতি মৌসুমে শুরু থেকে দাপট দেখানো রংপুরকে এলিমিনেটর ম্যাচে মাত্র ৮৫ রানেই আটকে দিয়েছে নাসুম-মিরাজরা।
রংপুরকে টেক্কা দিতে এলিমিনেটর ম্যাচে শিমরন হেটমায়ার এবং জেসন হোল্ডারকে উড়িয়ে এনেছিল খুলনা টাইগার্স। যদিও ব্যাটিংয়ের জন্য এই দুজনের কাউকেই প্রয়োজন হয়নি মিরাজদের। কিন্তু মিরাজদের আটকাতে বিদেশি ক্রিকেটারদের পরিবর্তে দেশিদের ওপর ভরসা রাখছে চিটাগং কিংস। এমনকি বিদেশি আনার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন।
গতকাল বরিশালের সাথে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিথুন বলেন, ‘এখনও এমন কোনো (বিদেশি আনার) পরিকল্পনা নাই। সেটাতে বিশ্বাসীও না। শুধু বড় নাম হলেই হয় না । এখনও পর্যন্ত যারা বিদেশি খেলছে সবাই এই আবহাওয়ার সাথে এডজাস্ট করে ফেলেছে। বড় নাম আনলেই ডেলিভার করতে পারবে এমন না।’
হঠাৎ করে বিদেশি ক্রিকেটার এনে ম্যাচ খেলানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটিং দিক থেকে দেখলে (এমন অবস্থা) আইডিয়াল না। জার্নি করে জেট ল্যাগের ব্যাপার থাকে। আমি মনে করি না এটা আইডিয়াল। যদি এনে তাকে রেস্ট দেওয়া যায় সেটা আইডিয়াল।’
মিথুনরা বিদেশি ক্রিকেটার না আনলেও তাদের দলে ব্যাটিং ঘাটতি স্পষ্ট। একই ব্যর্থতায় গতকাল বরিশালের বিপক্ষে হেরেছে দলটি। এমনকি এই দলে পার্ট টাইম বোলারের অভাবও লক্ষ্যণীয়। রেগুলার বোলার খরুচে হলেও তাকে দিয়েই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কাজ সারতে হয়েছে মিথুনকে। তবে মিডল লোয়ার অর্ডারে বোলারদের ব্যাট করতে নামানো স্পষ্টতই চিটাগংকে পিছিয়ে রাখবে।
Dutch-Bangla Bank BPL T20 2025 |
Posted by BPL - Bangladesh Premier League on Monday, February 3, 2025
টিম কম্বিনেশনে চিটাগং থেকে বেশ এগিয়ে মেহেদি মিরাজের দল। ফাইনালের ওঠার লক্ষ্যে আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই চিটাগংকে মোকাবিলার সম্ভবনা বেশি। তা যদি হয়, তবে মিরাজের দলে বোলারের সংখ্যা ৬ জন, এর বাহিরে পার্ট টাইমার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন আফিফ। এছাড়া অলরাউন্ডার মিলিয়ে ব্যাটারের সংখ্যা ৮ জন। নয় নাম্বারে নামা নাসুম আহমেদও ব্যাট চালাতে পারেন।
সবমিলিয়ে কম্বিনেশন বিবেচনায় চিটাগং থেকে খুলনাই এগিয়ে থাকবে। তবে নাম-মান কখনোই মাঠের কাজটা করে না। যার জ্বলন্ত উদাহরণ, সবশেষ রংপুরের ম্যাচ। তারকা ক্রিকেটার এনেও নক আউট পর্বে সবচেয়ে কম রানে আউট হয়েছে রংপুর রাইডার্স। তবে দেশি ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা করা চিটাগংয়ের ইমন, মিথুন এবং শামীম যদি একত্রে জ্বলে ওঠেন; প্রতিপক্ষের জন্য সেই ম্যাচ জিততে বেশ কাঠখড় পোহাতে হবে।
বিপিএলের গ্রুপ পর্বে উভয় দল দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল। তাতে একটি করে ম্যাচ জিতেছে খুলনা-চিটাগং। তবে দুই ম্যাচেই টসে জেতা দল ম্যাচ হেরেছে। ফলে আগামীকালের ম্যাচে টসে জেতা এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সবচেয়ে বড় ইস্যু। যদিও উভয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দল করেছিল ২০০ রান। দিনশেষে শুরুতে ব্যাট করা দলই জিতেছিল ম্যাচ। ফাইনালের ওঠার দৌড়ে সব সমীকরণ মিলিয়ে হয়তো মাঠে নামবে মিথুন-মিরাজরা। তবে দলের পারফরম্যান্সই ফলাফল নির্ধারণের রায় দেবে।
এমআই