Advertisement
Us Bangla Airlines
বিপিএলে কেন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের পক্ষে নাহিদ?

বিপিএলে কেন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের পক্ষে নাহিদ?

খেলা ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৬

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের পিচ নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রিকেটাররা। সিলেট, চট্টগ্রামের পাশাপাশি মিরপুরেও হয়েছে রানবন্যার আসর। চলতি মৌসুমে ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১১ ইনিংসে ২০০ বা তার বেশি রান হয়েছে। এছাড়া রানের পরিমাণ বাড়াতে বাউন্ডারির সীমানাও কমিয়েছিল বিসিবি। সবমিলিয়ে বোলারদের অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

বাউন্ডারির সীমানা কমানোর কারণে বোলারদের হয়ে কথা বলেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর চট্টগ্রাম পর্বে তা অপরিবর্তিত রাখা হয়। কিন্তু সেখানেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ দেখেছে এবারের বিপিএল। চট্টগ্রামে রাজশাহীর বোলারদের নাস্তানাবুদ করেছিল ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটাররা। কিন্তু সেই ম্যাচেও উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন আহমেদ।

কীভাবে এত গতিতে বল করেন নাহিদ রানা, জানালেন নিজেই

চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক টাইগারদের ফাস্ট বোলিং ইউনিটের নেতা। রানবন্যার বিপিএলে তাসকিনের ইকোনমি ছিল ৭ এর কম। তবে একই আসরে নাহিদ রানার ইকোনমি ছিল ৮ এর বেশি। ১২ ইনিংসে ৪৩ ওভার বল করে ৩৫০ রান দিয়েছিলেন এই বোলার। উইকেট পেয়েছেন ১০টি।

বিপিএলে নাহিদ যে বড় পরীক্ষা দিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নিজেদের বোলিং সামর্থ্য যাচাইয়ে তিনি ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। নাহিদ বিশ্বাস করেন, বিপিএলের মতো ভালো উইকেটে তাসকিনদের মতো ইকোনমিক্যাল বল করা শিখলেই নিজের দক্ষতায় উন্নতি করতে পারবেন।

বিপিএলের উইকেট নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেন, ‘একজন বোলার হিসেবে আমি মনে করি, যে কোনো উইকেটে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই জানা যায় না উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে নাকি বোলিং সহায়ক। যেহেতু (বিপিএলে) ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল, তাই আমাদের ভালো করতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ব্যাটিং উইকেটে ভালো বোলিং করতে পারি, তবে যখন উইকেট সহায়ক হবে, তখন আরও ভালো করা সম্ভব। যখন বোলারদের জন্য সহায়তা থাকে, তখন বেশি কিছু করতে হয় না। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বোলিং করলে প্রকৃত বোলিং সামর্থ্য যাচাই করা যায়।’

বাংলার বাঘের অপেক্ষায় বাবর আজমের দল

বিপিএল নিয়ে নাহিদ আরও বলেন, ‘আমি এর আগে দুবার বিপিএল খেলেছি। এবারের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা। আগের দুইবার আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলাম না। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর এবার বিপিএলে আমি ভীষণ উপভোগ করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা শিখেছি, সেগুলো এখানে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি বিপিএলে যে ভুলগুলো করেছি, তা সংশোধনের জন্য কাজ করছি।’

এলিমিনেটর ম্যাচ থেকে ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে নাহিদের দল রংপুর রাইডার্স। বিপিএল থেকে বিদায়ের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করছেন নাহিদ রানা। প্রথমবারের মতো আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে নিচ্ছেন আলাদা প্রস্তুতি। এছাড়া নিজের দক্ষতা আলাদাভাবে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন এ বোলার।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নাহিদ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে, আমি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে আরও ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করছি। শেখার কোনো শেষ নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও আমি ভুল করতে পারি এবং সেখান থেকে শিখতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হবে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যাওয়া এবং দল হিসেবে ভালো করা। আশা করি, আমরা দল হিসেবে ভালো করব।’

এমআই