
ওয়ার্কলোড নিয়ে নাহিদ বললেন ‘বিশ্রামের প্রয়োজন হলে জানাবো’
খেলা ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৮
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স। যার প্রতিটি একাদশেই ছিলেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। রংপুরের হয়ে সাত ম্যাচ খেলা এ ফাস্ট বোলার ইতোমধ্যে ২৬ ওভার বল করেছেন। যেখানে ২৪.৪৪ গড়ে প্রতিপক্ষের ৯ উইকেট তুলেছেন তিনি। ইকোনমি চলনসই হলেও স্ট্রাইকরেটটা দারুণ। প্রতি উইকেট তুলতে গড়ে ১৭ বল করেছেন নাহিদ।
বাইশ গজে গতির ঝড় তোলা ২২ বছর বয়সী এ পেসারের বোলিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নের জায়গা নেই। তবে এত অল্প বয়সে নাহিদের টানা ম্যাচ খেলা নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা। বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে আসা ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার কার্টলি অ্যামব্রোসও নাহিদের টানা ম্যাচ খেলা নিয়ে সতর্ক করেছেন। তবুও সেটা আমলে নিচ্ছে না রংপুর রাইডার্স।
এবার ওয়ার্কলোড নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নাহিদ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বোলার বলেন, ‘আসলে একজন ক্রিকেটার নিজেই বুঝতে পারে, ওয়ার্কলোড হচ্ছে কি না, বা তার শরীর সায় দিচ্ছে কিনা। আমি এখনো ভালো অনুভব করছি, আলহামদুলিল্লাহ। বিসিবি, রংপুর টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আমার নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে। আমার যদি বিশ্রামের প্রয়োজন হয়ে, তাদের জানাবো। আপাতত ভালো অনুভব করছি।’
ফাস্ট বোলাররা সাধারণত ইনজুরিপ্রবণ হয়ে থাকেন। চোটের ঝামেলা এড়াতে নাহিদকে বেছে বেছে ম্যাচ খেলিয়েছে বিসিবি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সেই সুযোগ নেই। ওয়ার্কলোড বেড়ে গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজির চাহিদা অনুযায়ী খেলতে হয় ক্রিকেটারদের। আবার খেলোয়াড় হিসেবে নাহিদের নিয়মিত খেলতে চাওয়াটা স্বাভাবিক। পাশাপাশি মন্দ অনুভব করলেও তাঁর প্রকাশ্যে জানানোর সুযোগ নেই।
বিধিনিষেধের এমন বিড়ম্বনায় নাহিদের বোলিং ধার যে কমেছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। টাইগার হয়ে নিয়মিত ১৪৫ গতিতে বল করা নাহিদের বিপিএলের গতি কোনমতে ১৪০ এর ঘর স্পর্শ করে। ঘণ্টায় দেড়শ কিমিতে বল করা নাহিদকে যেন রংপুরের সবশেষ ম্যাচগুলোতে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। ওয়ার্কলোডের এমন চাপে নাহিদকে বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে কথা বলেছেন দলটির কোচ মিকি আর্থার।
সম্প্রতি সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে নাহিদকে নিয়ে আর্থার বলেন, ‘আমরা দেখব তার কী অবস্থা। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া ও খেলানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। বেশি বল করানো বা কম বল করানোর মধ্যেও আছে। মাত্র ২৪টা বল করতে হয় ম্যাচে, আমরা দেখব এটা সে কীভাবে করে। তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পেলে আমরা তা দেব।’
এখন পর্যন্ত বিশ্রামের সুযোগ না পেলেও আর্থারের অধীনে খেলতে পেরে খুশি নাহিদ রানা। কোচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভালো একজন কোচের অধীনে কাজ করতে পারলে অনেক কিছুই শেখা যায়। আমি ব্যাপারটা উপভোগ করছি।’
এমআই