
হঠাৎ কেন আলোচনায় মুমিনুল হক?
খেলা ডেস্ক
১৭ মার্চ ২০২৫, ২৩:৩৩
সাদা পোশাকে বাংলাদেশকে লম্বা সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করছেন মুমিনুল হক সৌরভ। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন আলোচনার বাইরে এই ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দূরে থাক, ওয়ানডে দলের ভাবনাতেও গত সাত বছরে ছিলেন না এই বাঁহাতি। সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে দুটো ম্যাচ খেললেও এরপর রঙিন জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ পাননি মুমিনুল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে ২০১২ সালে ওয়ানডে দলে অভিষেক হয় মুমিনুলের। সাকিবের ফ্যান বয় হয়ে বেড়ে ওঠা মুমিনুল জাতীয় দলে সাকিবের ইনজুরিতে দলে জায়গা পেয়েছিলেন। এরপর মিডল অর্ডারে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এমনকি টপ অর্ডারেও একটা সময় ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে তাকে। কিন্তু পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা কখনোই ধরে রাখতে পারেননি মুমিনুল।
২০১৪ সালে চান্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রথম দফায় বাংলাদেশের কোচ হয়ে এলে কার্যত এই ব্যাটারের ওয়ানডেতে খেলা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। মাঝে ২০১৫ বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ এবং ২০১৮ এশিয়া কাপে দুই ম্যাচ সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। ফলে ওয়ানডে একাদশে লম্বা সময় ব্রাত্যই ছিলেন মুমিনুল হক।
জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নিয়মিত দ্যুতি ছড়িয়েছেন টেস্ট দলের সাবেক কাপ্তান। তবে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহের মাঝে জাতীয় দলে আসার সুযোগ হয়নি মুমিনুলের। সম্প্রতি ওয়ানডে দল থেকে বিদায় নিয়েছেন মুশফিক-রিয়াদ। তাদের স্থানে কে খেলবেন, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে এর মাঝেই ডিপিএলে আবাহনীর জার্সিতে ৯২ রানের ইনিংস খেলে বসেন মুমিনুল হক।
অভিজ্ঞতা আর বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্যে মুমিনুলের ওয়ানডে দলে ফেরা নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা চলছে। নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। জাতীয় দলে ফেরা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘যারা এভাবে হঠাৎ করে টিমে ঢুকবে, তারা একটা সুযোগ পাবে আরেকটা সুযোগ আদায় করে নিতে হবে। সহজেই আমি আরেকজনরে দোষ দিতে পারি–কোচ কিংবা বোর্ড হোক।’
জাতীয় দলের ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করে মুমিনুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনি আপনার কাজটা ঠিকঠাক করতে থাকলে সুযোগ আসবেই। সুযোগটা আপনি কীভাবে কাজে লাগাবেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে এমন না যে আমি আশা ছেড়ে দিছি। আমি এখনও আশাবাদী।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সবশেষ ত্রিশ ম্যাচের ২২টাই হেরেছে। তবুও মুমিনুল বলছেন সুসময় নাকি খুব কাছে, ‘সিনিয়ররা চলে গেলে নতুনরা একটু গুছিয়ে নিতে সময় লাগে। হয়তো একটু সময় লাগছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে আস্তে আস্তে স্থির হবে। সবচেয়ে ভালো বিষয়, আমাদের পেস বোলিং ইউনিটটা এখন অনেক উন্নতি করেছে। ওই জায়গাটা ভালো হওয়ায় আমাদের অন্যগুলোও কাভার হয়ে যাবে।’
এমআই