
কোটি টাকা দাবি করে বিসিবি সভাপতিকে চিঠি
খেলা ডেস্ক
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩০
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে পাওনা অর্থের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনসিসি)। আজ এনসিসির সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে এই চিঠি প্রেরণ করেন। চিঠিতে ২০০৭-২০২২ পর্যন্ত বিসিবি থেকে গেটমানি বাবদ প্রাপ্য অর্থ এনসিসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ফেডারেশন বা এসোসিয়েশনগুলোর খেলাধুলা আয়োজনের প্রাপ্ত গেটমানি (টিকিট) থেকে ১৫ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে প্রদান করতে হয়। ২০০৮ সালে এনসিসি চেয়ারম্যান নির্দেশিত আইনে খেলাধুলার বিপণন ও প্রচার স্বত্বের আয় হতে (ভ্যাট, আয়কর ব্যতীত) ১০ শতাংশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রাপ্য।
২০০৭-২০২২ পর্যন্ত গেটমানি বাবদ এনসিসিকে ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৭ টাকা প্রদান করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এনসিসি থেকে প্রাপ্ত এই অর্থকে প্রকৃত প্রাপ্যের তুলনায় অনেক কম এবং বাস্তবসম্মত মনে করে না। কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে গেট মানির হিস্যা কম পেলেও প্রচার স্বত্বের এখনো কিছুই পায়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এদিকে ২০১৯-২২ অর্থবছরে বিসিবি গেটমানি বাবদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা প্রদান করেছে। তাই এনসিসি ২০২২-২৩ অর্থ বছর হতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক খেলা আয়োজনের প্রাপ্ত গেট মানির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্বের আয়ের ১০ শতাংশ টাকা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়ের অন্যতম উৎস বিসিবির এই দুই খাত। বিসিবি নিয়মিত এই খাতে অর্থ পরিশোধ না করায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিট আপত্তির মুখে পড়েছে।
সম্প্রতি বিপিএলে ১০ কোটি টাকার বেশি টিকিট বিক্রি করেছে বিসিবি। ফলে এই অঙ্কের ১৫ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে কোটি টাকার ওপর প্রাপ্য। গত দুই অর্থ বছরে আরো অনেক আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া সিরিজ মিলিয়ে শুধু গেটমানি বাবদই বেশ বড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার কথা। আর প্রচার স্বত্ব অনেক বড় অঙ্কে বিক্রি করে বিসিবি। সেটির থেকেও দশ শতাংশ প্রাপ্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সবমিলিয়ে টিকিট ও প্রচার স্বত্ব খাত থেকে সঠিক হিসাবের পাশাপাশি কোটি টাকার বেশি দাবি করে বিসিবি সভাপতিকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এমআই