বাংলাদেশ ফুটবলে প্রবাসী হিসেবে আলো কেড়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন এই ফুটবলার। এরপর ২০২১ সালে দেশের ফুটবলে যুক্ত হয়েছেন ফিনল্যান্ডের তারেক কাজী। তবে প্রবাসী ফুটবলের বিপ্লব দেখা যায় হামজার অভিষেকের পর।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার গত ২৫ মার্চ প্রথম বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ান। হামজার অভিষেকের পরেই লাল-সবুজের জার্সি পরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অন্তত ৩২ প্রবাসী ফুটবলার। যাদের মধ্যে আছেন সামিত শোম এবং কিউবা মিচেল।

কানাডার হয়ে খেলা সামিতকে জুনে সিঙ্গাপুর ম্যাচেই খেলাতে চায় বাফুফে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে তার জন্মসনদও তৈরি করা হয়েছে। এরপর ভিসার কাজ শেষ করে তিনি বাংলাদেশ ফুটবলে যোগ দিতে পারেন।

সামিত আসার আগেই নতুন প্রবাসী ফুটবলারের আসার কথা জানিয়েছে বাফুফে। এই ফুটবলারের পুরো নাম কিউবা রাউল মিচেল। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলে থাকেন তিনি। গত পরশু বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর প্রতিনিধির কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে বাফুফে। 

প্রতিনিধির মাধ্যমেই কিউবা জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান। বাফুফের কাছে কিউবার খেলতে চাওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে তাঁর এজেন্ট। কিন্তু কে এই কিউবা মিচেল?

কিউবা মিচেলের পরিচয়

ইংল্যান্ডের অন্যতম শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা কিউবা মিচেল। তার বাবা জ্যামাইকান হলেও মা বাংলাদেশি। সেই সূত্রে তার বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে খেলছেন প্রিমিয়ার লিগ-২ এ। এই লিগটি মূলত বয়সভিত্তিক দলগুলোর মাধ্যমে গড়া। 

সান্ডারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ টুয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন কিউবা। অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে খেলেছেন ১১টি ম্যাচ। সাধারণত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন কিউবা মিচেল। ড্রিবলিংয়ে পটু, পাসিং বেশ ভালো হিসেবে দক্ষতা রয়েছে তাঁর। তবে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

সবমিলিয়ে হামজা চৌধুরী, সামিত শোম এবং কিউবা মিচলকে একসঙ্গে দলে দেখা গেলে মিডফিল্ডে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে বাংলাদেশ দল।

এমআই