ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে গত ২৫ মার্চ। এরপর প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ বেড়েছে। সম্প্রতি সবচেয়ে চর্চিত ফুটবলারের নাম সামিত শোম। কানাডার বয়সভিত্তিক ফুটবল দলে খেলা এই ফুটবলার ইতোমধ্যে লাল-সুবজের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গত শুক্রবার দুপুরে সামিত শোমের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। এরপর আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। আজ (১৫ এপ্রিল) সামিতের সঙ্গে আলোচনা সারে বাফুফে। যেখানে সামিতের বন্ধু অমিত হাসানও উপস্থিত ছিলেন। 

আধ ঘন্টার বেশি অনলাইন সভার পর বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন,‘সামিত বাংলাদেশের হয়ে খেলার অপেক্ষায় রয়েছেন। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ তথা ১০ জুনে খেলার জন্য আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এশিয়ান কাপের পরবর্তী ম্যাচগুলো যেহেতু দেরিতে সেগুলো নিয়ে তিনি ক্লাব ও কোচের সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন। জুনের শেষের দিকে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে সাফ হতে পারে এই ধারণাও তাকে দিয়ে রেখেছি।’

১০ জুন ঢাকায় সামিত সোমকে খেলাতে হলে বাফুফেকে ৩ জুনের মধ্যে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে সর্বপ্রথম সামিত সোমের বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকতে হবে। তাই আজ পাসপোর্টকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সামিত।

বাফুফে সহ-সভাপতি বলেন, ‘সামিতও আশা করছেন জুনেই খেলার জন্য। আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি নিয়ে তিনিও অবগত। আমরা ইতোমধ্যে জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এটি হয়ে যাবে। এরপর সামিত কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে পাসপোর্টের আবেদন করবে। তার ক্লাবের ব্যস্ত অনুশীলন সূচি রয়েছে। তিনি যেন খুব সহজে ক্লাবে ফিরতে পারেন সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’

সামিতের সঙ্গে পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছেন বাফুফে সহ-সভাপতি। তবে এই ফুটবলার বিশেষ কোনো চাহিদার কথা জানাননি।

সামিতের চাহিদা ইস্যুতে ফাহাদ করিম বলেন,‘আমি একাধিকবার জিজ্ঞেস করেছি, বাফুফের প্রতি তার প্রত্যাশা বা চাহিদা রয়েছে কিনা। তিনি এই সংক্রান্ত কিছু বলেননি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান এবং সর্বপ্রথম তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। পাসপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য আবার আলোচনা করবেন।’

এমআই