Advertisement
Us Bangla Airlines
নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক

২১ জুলাই ২০২৫, ২১:২৫

বাংলাদেশের একাদশে জায়গাটা পাকা ছিল স্ট্রাইকার মোসাম্মৎ সাগরিকার। নেপালের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেই নেপালের বিপক্ষে মাঠে ফিরেই চার গোল দিলেন এই ফরোয়ার্ড। সাফ অ-২০ নারী টুর্নামেন্টে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই ছিল। আজ এই ম্যাচে অন্তত ড্র প্রয়োজন ছিল স্বাগতিক দলের। বাংলাদেশ নেপালকে ৪ গোল দিয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নেপাল দুই বার বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে রানার্স আপ। 

শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ

সাগরিকা প্রথমার্ধে একটি ; দ্বিতীয়ার্ধে করেছেন তিন গোল। ৬ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন তিনি। সাগরিকার এটি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে এক গোল করছিলেন। 

দ্বিতীয়ার্ধে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানের সঙ্গে হাতাহাতি করে লাল কার্ড দেখেন। এতে পরের তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। আজ ফিরেই আবার হ্যাটট্রিক করলেন।

সাগরিকার তিনটি গোলই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। ৮ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে এক ডিফেন্স চেরা থ্রু বল পান সাগরিকা। নেপালের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। নেপালের গোলরক্ষক বক্সের বাইরে এসে তাকে আটকাতে পারেননি। কোনাকুনি প্লেসিং শটে সাগরিকা বল জালে জড়ান। 

সাড়ে চার ঘণ্টার ম্যাচে বড় জয় পেল বাংলাদেশ

৫২ মিনিটে বক্সের সামনে নেপালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরিকা। অসাধারণ দক্ষতায় বল রিসিভ করে খুব দ্রুত মুভ করে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলেন। গোলরক্ষক পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। তার নাগাল পাওয়ার আগেই বল জালে পাঠান কুশলী ফরোয়ার্ড। 

হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে বেশি সময় নেননি সাগরিকা। পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশ অর্ধ থেকে বাড়ানো এক লম্বা বলে সাগরিকা ডিফেন্ডারের সঙ্গে তাড়া করে পেয়ে যান। এবারও তিনি দারুণ দক্ষতায় বল জালে পাঠান চোখের পলকেই। গ্যালারির সামনে গোল উদযাপন করেন। 

৭৬ মিনিটে আবারও সাগরিকার গোল। এবার বলের যোগানদাতা মুনকি আক্তার। ডিফেন্স চেরা পাসে সাগরিকা আবার গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। আজকের দিনটি পুরোটাই সাগরিকার। অলিখিত ফাইনালেল মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার চার গোলই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন।

নেপাল আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সমতা এনেছিল। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করেছিল। এরপরই মূলত নেপাল খেলায় ফেরার সুযোগ পায়। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের জালে বলই পাঠাতে পারেনি প্রতিপক্ষ। প্রথমার্ধে কয়েকটি সুযোগ পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে নেপালকে কোনো সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ।

ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তার পোস্টের সামনে বেরিয়ে গ্রিপে নিতে পারেননি। নেপালের ফরোয়ার্ডের শট সাইড বারে লাগে ফেরত আসে। ফিরতি বলও নেপাল বল জালে পাঠাতে পারেননি। 

এমআই