
১২ মিনিটে ৪ গোল, বড় জয় পেল বাংলাদেশ
খেলা ডেস্ক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৮
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিদায়ঘণ্টা বাজানো হয়ে গেছে আগেই। গ্রুপের শেষ ম্যাচটা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তবে সেই ‘নিয়মরক্ষার’ ম্যাচেই যেন হঠাৎ জ্বলে উঠল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সিঙ্গাপুরকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শেখ মোরসালিনরা। ৭০ থেকে ৮২ মিনিট—মাত্র ১২ মিনিটে চার গোল করে প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় তারা।
আগুনঝরা এই সময়ে একে একে গোল করেন ফাহামিদুল ইসলাম, আল আমিন, মহসিন আহমেদ ও মোরসালিন। ইনজুরি সময়ে সিঙ্গাপুর একটি গোল শোধ দিলেও বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের জার্সিতে এই ম্যাচেই প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন ফাহামিদুল ইসলাম।
ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটে অবশ্য দৃশ্যপট ছিল ভিন্ন। সিঙ্গাপুর একাধিকবার বাংলাদেশের রক্ষণভাগে হানা দেয়। তবে গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ যেন একাই দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। অন্তত দুই-তিনটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দেন তরুণ এই গোলরক্ষক। তার দৃঢ়তায়ই দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন ইতালিপ্রবাসী মিডফিল্ডার ফাহামিদুল ইসলাম। ৭০ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার প্রথম গোল। মাত্র দুই মিনিট পর আল আমিন লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় দ্বিতীয় গোলটি করেন।
৮০ মিনিটে সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন মহসিন আহমেদ। আর ৮২ মিনিটে অধিনায়ক মোরসালিন বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। এক মুহূর্তে যেন সবকিছু পাল্টে দেয় বাংলাদেশের এই তরঙ্গ।
প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটু ছিলেন হাসপাতালে। তাই ডাগআউটে দায়িত্ব ছিল সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের কাঁধে। শুরুতে কিছুটা রক্ষণাত্মক মানসিকতা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক বদলি এনে আক্রমণভাগে গতি আনেন তিনি। ফাহামিদুল, আল আমিন ও মহসিনের দুর্দান্ত সমন্বয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ে সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগ।
সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে দিল ফাহামিদুল-জায়ানরা #BangladeshFootball
Posted by Khela.com on Tuesday, September 9, 2025
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ইংল্যান্ডপ্রবাসী কিউবা মিচেলকেও মাঠে নামান কোচ। যদিও গোলের দেখা পাননি ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ফুটবলার।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের আগের দুই আসরে বাংলাদেশ জয় তো দূরের কথা, একটি গোলও করতে পারেনি। সেই হতাশার পেছনে ফেলে এবার এসেছে স্বস্তির জয়। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ হেরে মূল পর্বে যাওয়ার আশা শেষ, তবে শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস জোগাবে পুরো দলের জন্য।
এমআই