রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই ‘এল ক্লাসিকো’ হিসেবে পরিচিত। ফুটবল পাড়ায় প্রতি বছর একাধিক এল ক্লাসিকো ম্যাচ দেখে থাকেন দর্শকেরা। সোমবার ২০২৫ সালের প্রথম এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাও আবার ফাইনাল! উত্তেজনার এ ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোসদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়ালকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।

বার্সার ৫, রিয়ালের ২- এল ক্লাসিকোতে গোল বন্যার এমন ম্যাচ ইদানীংকালে বিরল বলা চলে। তবে এত গোলের ম্যাচ যে একেবারে হয়নি, তাও বলার সুযোগ নেই। লা লিগা, কোপা দেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপে কদাচিৎ এমন ম্যাচ দেখা গেছে। তবে কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে রিয়াল-বার্সার এত গোল এবারই প্রথম দেখল ফুটবল ভক্তরা।

অফিশিয়াল ম্যাচে গত ১২৩ বছরে ২৫৯ বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এসব ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ গোলের লড়াই দেখেছে ফুটবল ভক্তরা, সেটাও ১৯১৬ সালে। কোপা দেল রে টুর্নামেন্টে সেবার উভয় দল ৬-৬ গোলের সমতা রেখেছিল। একই টুর্নামেন্টে ১৯৪৩ সালে ফের এক ডজন গোল দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সেই ম্যাচে ১১ গোলই ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। এল ক্লাসিকোতে যা এখন পর্যন্ত বড় ব্যবধানে জয়-হারের রেকর্ড।

এল ক্লাসিকোতে ডজন গোলের মতো দশ গোলের ম্যাচ আছে দুইটি। ১৯৩৫ সালে বার্সাকে ৮-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া ১৯৪৩ সালে সমান ৫ গোল করে দশ গোল করেছিল উভয় দল।

একবিংশ শতাব্দীতে দশ গোলের পরিসংখ্যান না থাকলেও ৮ এবং ৭ গোলের ম্যাচ দেখা গিয়েছে। ২০০৯ সালের ২ মে লা লিগায় মেসি ও অঁরির জোড়া গোলে রিয়ালকে ৬-২ গোলে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। এরপর ২০১৪ সালে মেসির হ্যাটট্রিকে বার্সা জিতেছিল ৪-৩ গোলে। প্রায় ১১ বছর পর ৭ গোলের ম্যাচে রিয়ালের বিপক্ষে আজ সোমবারও জিতেছে কাতালানরা। 

এদিকে ফাইনাল ম্যাচে এ নিয়ে মোট তিনবার ৫ গোল হজম করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৬২ ইউরোপিয়ান কাপে ইউসেবিরও বেনফিকার কাছে প্রথমবার, ২০০৭ স্প্যানিশ সুপার কাপে সেভিয়ার কাছে দ্বিতীয়বার এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে চলতি বছরে তৃতীয়বার ৫ গোল হজম করল মাদ্রিদের দল।

এমআই