বার্সেলোনার ৫ আর বেনফিকার ৪ গোল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে এমন স্কোরলাইন আগে দেখা যায়নি। শুধু লেখা পড়ে এই স্কোরলাইনের রোমাঞ্চ বোঝা সম্ভব নয়। গোল সংখ্যায় দুইবার পিছিয়ে পড়ার পর শেষমেশ ম্যাচটি জিতে নেয় বার্সেলোনা। এমন ম্যাচকে পাগলাটে বলে আখ্যায়িত করেছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ জানান, নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে কখনোই এমন ম্যাচ দেখিনি। তিনি বলেন, ‘পাগলাটে ম্যাচ ছিল। বেনফিকা খুব ভালো ছিল, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। আমরা অনেক ভুল করেছি...বিরতির পর আমরা কিছু পাল্টাতে চেয়েছিলাম। আরও ভালো পজিশন নিতে চেয়েছি এবং বলেছি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই।’

শুধু বার্সা কোচ কেন, লিসবনের এমন ঘটনা আগেও কখনো দেখা যায়নি। ৯ গোলের এই ম্যাচে বেনফিকা থেকে দুইবার পিছিয়ে পড়েছিল বার্সা। যেখানে ৩-১ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে গিয়ে ৭৭ মিনিট পর্যন্তও ৪-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত জিতেছে বার্সাই। বেনফিকার সাথে রোমাঞ্চের জন্ম দেওয়া এই ম্যাচের মাধ্যমে সেরা ১৬ তে অবস্থান নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।

এমন ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের মানসিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন বার্সা কোচ। তিনি বলেন,‘সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় হলো আমাদের মানসিকতা। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছি, যেটা সুন্দর। আর এটাই ফুটবল, এ কারণেই আমরা খেলাটিকে ভালোবাসি। আমার মনে হয় না কখনো এমন ঘুরে দাঁড়ানো দেখেছি। এটা অবিশ্বাস্য।’

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার এমন করে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নতুন নয়।  ২০১৬-১৭ চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোয় পিএসজির বিপক্ষে প্রথম লেগের ৪ গোলের ব্যবধান ঘুচিয়েও জিতেছে বার্সা। কিন্তু ফ্লিকের এই দল যা ঘটিয়েছে, সেটা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসেই প্রথম প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেওয়া প্রথম দল বার্সা। 

বার্সার জন্য মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দিয়েছে ৯৬ মিনিটে করা রাফিনিয়ার গোলটি। মৌসুমে ৩০ ম্যাচে এরই মধ্যে ২২ গোল করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। যেখানে চ্যাম্পিয়নস লিগেই তার গোল সংখ্যা ৮টি। 

এমআই