
ফিনিশার হিসেবে আমার কাজই হলো হিট করা: শামীম
খেলা ডেস্ক
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৮
আগের ম্যাচে টপ অর্ডার থেকে চল্লিশোর্ধ রান করেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পুরো টপ অর্ডারই ব্যর্থ। মিডল অর্ডারে মিরাজ-জাকির কিছু রান করলেও তা টি-টোয়েন্টির সাথে মানানসই নয়। শামীম যখন মাঠে নামেন তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডের অবস্থা বেশ নাজুক। মাত্র ১৪.২ ওভারে ৭২ রান তুলতেই হারিয়েছে ৬ উইকেট।
ব্যাটারদের মন্থরগতি দেখে রান ১০০ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। এ শঙ্কার মাঝেই আউট হয়ে যান সেট ব্যাটার জাকের আলী। এরপর থেকে নড়েচড়ে বসেন প্রথম ম্যাচে ২৭ রান করা শামীম হোসেন। ম্যাচের ১৭তম ওভারে ম্যাকয়কে মারা শামীমের প্রথম ছয়ে আসে ১১ রান। একই বোলারকে ১৯তম ওভারে আরেকটি ছয় হাঁকিয়ে ১১ রান তুলেন এ ব্যাটার।
শেষ ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে আরও দুটো চার মারেন শামীম পাটোয়ারী। নির্ধারিত ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান দাঁড়ায় ১২৯। যেখানে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের দারুণ ইনিংস খেললেন শামীম। স্ট্রাইকরেট ২০৫.৮৮। সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ২০০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ১৩ বলে ২৭ রান করেছিলেন এ বাঁহাতি।
শামীমের ঝড়ো ইনিংসেও নামমাত্র লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। তবে বোলারদের ক্যারিশমা দেখানোর জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছিল। দিনশেষে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে নেয় ২৭ রানে। প্রত্যাবর্তনে আলো ছড়াতে থাকা শামীম এবার পেয়ে যান ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকদের শামীম হোসেন বলেছেন, ‘দীর্ঘ দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি, তাই খুব ভালো লাগছে। দলের ভূমিকায় আমি হলাম ফিনিশার, আমার কাজই হলো মারা।’
অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে অপ্রচলিত জায়গা দিয়ে রান বের করা প্রসঙ্গে শামীম বলেছেন, ‘ফিনিশ করা নিয়েই ভাবি। গত কয়েক মাস ওসব শট নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও দলের জয়ে অবদান রাখার উচ্ছ্বাস তুলে ধরলেন তিনি। এ ব্যাটার বলেন, ‘আমার সবসময়ই চিন্তা থাকে যে, দল যেরকমই থাকুক, আমি যদি খেলতে পারি, আমার দল অনেক ওপরে চলে যাবে। সবসময় ইতিবাচক ভাবনা থাকে আমার। ভালো খেলতে পেরেছি, এতেই আমি খুশি, আমার পরিবার খুশি, পুরো দেশ খুশি। এটাই ভালো লাগছে।’
দল থেকে বাদ পড়লেও নিজের মধ্যে শিগগিরই ফেরার আত্মবিশ্বাস গেঁথেছিলেন শামীম। একইসঙ্গে এটাও বিশ্বাস করেছিলেন, জাতীয় দলে ফিরলে এবার ভালো করবেন।
এ প্রসঙ্গে শামীম বলেন, ‘বাদ পড়েছিলাম, ওসব নিয়ে চিন্তা করি না। অনেক ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে চলাফেরা করি এবং খুশি থাকতে পছন্দ করি। জানতাম, যে কোনো সময় ফিরে আসতে পারব। আমি সবশেষ যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, এইচপি দল, এইচপির হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর, ইমার্জিং দল, ওসবে ভালো খেলেই এসেছি। এজন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম যে, সুযোগ পেলে ভালো খেলব।’
বাইশ গজে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন বলে ২০২১ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন শামীম পাটোয়ারী। তবে অফ ফর্মে গত বছরের নিউজিল্যান্ড সফরের পর থেকে জাতীয় দলের বাইরে ২৪ বছর বয়সী এ ব্যাটার। প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে পরপর দুই ম্যাচে দারুণ দুটি ইনিংস খেললেন। এবার ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন বলে প্রত্যাশা বিসিবি এবং টাইগার ভক্তদের।
এমআই