জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত বছর আগে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে সিলেটের মাটিতে পরাজয় বরণ করেছিল মুশফিক-মুমিনুলরা। সাত বছর বাংলাদেশের টেস্ট দলে এখনো খেলছেন অভিজ্ঞ মুশফিক-মুমিনুল। কিন্তু দলের চিত্র পাল্টায়নি। সেই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবারও হারলো বাংলাদেশ।

ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে আজ (বুধবার) জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টেস্ট জিততে সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৭৪ রান, ৭ উইকেট হারিয়ে তারা সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। যদিও শেষদিকে মিরাজ, তাইজুল বল হাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় স্বল্প পুঁজিতে আর ম্যাচ জেতা হয়নি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনের মুখোমুখি হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে শান্ত জানিয়েছেন, তারা এমন হারে খুব বেশি আপসেট না।

শান্ত বলেন, ‘ম্যাচটি আমি একাই হারিয়েছি। তাই একাই হারের দায়ভার নিচ্ছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি সময় নিতে পারতাম। যদি চিন্তা করেন পুরো ম্যাচটা আমি অধিনায়ক হিসেবে হারিয়ে দিয়েছি। কারণ সত্যি কথা সকালে আউটটাতে পুরো খেলাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।’

এমন হার অতিরিক্ত হতাশাজনক না উল্লেখ করে টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘পরাজয় অবশ্যই হতাশাজনক, পুরো ম্যাচটা যদি বিশ্লেষণ করি আমরা খুব একটা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। যার কারণে ম্যাচটা হারা। অতিরিক্ত আপসেট বলব না, তবে আমরা ভালো করিনি।’

মিরাজ-তাইজুলের প্রশংসা করার পাশাপাশি ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার আউট পুরো ব্যাটিংটা নষ্ট করে ফেলেছিল। ওই মোমেন্টামটা ওরা পাওয়াতেই খেলাটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে হেরে গেছি। মিরাজ এবং তাইজুল ভাই ভালো চেষ্টা করেছে। অসম্ভব ভালো বোলিং করেছে অবশ্যই ক্রেডিট দিতে হবে। বাট আমার কাছে মনে হয় যে বোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল না।’

এমআই