Advertisement
Us Bangla Airlines
হাসানকে কেন বারবার ব্যাটিংয়ে পাঠালেন জাকের?

হাসানকে কেন বারবার ব্যাটিংয়ে পাঠালেন জাকের?

খেলা ডেস্ক

২৬ এপ্রিল ২০২৫, ২০:০১

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে লোয়ারঅর্ডারে ব্যাট করে থাকেন জাকের আলী। জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই ব্যাটার নামতেন ৭ নম্বর পজিশনে। মিডল অর্ডারের সঙ্গী হারালে জাকেরের ভাগ্যে জুটতো বোলাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে বোলারদের সাথেই ব্যাটিং করেছেন জাকের।

ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে মুজারাবানির বাউন্সারে আউট হন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর জাকেরকে সঙ্গ দিতে আসেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু মাত্র ৩ বল খেলেই তাইজুলও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ফলে জাকেরকে সঙ্গ দেন ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ। সেই ইনিংসে ৫৮ বল মোকাবেলা করেন এই ফাস্ট বোলার।

দলের ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও কেন বারবার হাসানকে স্ট্রাইক দিয়েছেন, তার যথার্থ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি জাকের আলী। বরং হাসানের উইকেট থেকে তার রানকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন এই ব্যাটার।

জাকের বলেন, ‘৭ উইকেট যাওয়া মানে আরও ৩টি উইকেট আছে। যেহেতু আমরা টার্গেট দিচ্ছি, তার মানে একেকটি রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাসান কিন্তু ৫৮ বল খেলেছে। ৩৭ রানের পার্টনারশিপ হয়েছে। ওটার মধ্যে যদি হাসানই ৩৭ রান করে, আমার কোনো সমস্যা নেই।’

‘যেহেতু টার্গেট দিচ্ছি, ওরা প্রথমে আমাকে অ্যাটাক করেনি। যখনই হাসান এসেছে তখনই সবকিছু ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল খেলা বড় করা। যতদূর নেওয়া যায়। হয়নি আসলে’- যোগ করেন তিনি।

নিচের দিকে ব্যাট করা নিয়ে জাকের বলেন, ‘যে পরিস্থিতি থাকে ওরকমই তো খেলতে হবে। এটা নিয়ে তো বলার কিছু নেই। টেল-এন্ডারদের নিয়েই চেষ্টা করি যেন ইনিংস বড় করা যায়, যতদূর টেনে নেওয়া যায়। আমার তো (ব্যাটিং পজিশন) এক ধাপ আগানো হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আসলে এত চিন্তা করার কিছু নেই। ব্যাটাররা যদি বড় রান করে, আমাকে সেকেন্ড নিউ বলে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পারে। কলাপ্স হয়েছে বলেই আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়েছে বা টেল এন্ডারদের সেই ফাইট করতে হয়েছে।’

নিচে খেলার কারণে নামের পাশে সেঞ্চুরি কিংবা বড় রানের ইনিংস কম জাকেরের। যদিও তাতে সমস্যা দেখছেন না তিনি, ‘ডমেস্টিক ও বয়সভিত্তিক সময় থেকেই এভাবে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত। ডমেস্টিকেও ৬-৭ নম্বরে ব্যাট করতাম। এরকম খেলেই অভ্যস্ত। এই প্র্যাকটিস আগে থেকেই ছিল। এ কারণেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করতে ৫ বছর লেগেছে।’

এমআই