Advertisement
Us Bangla Airlines
হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে ফের ‘হাস্যকর’ সিদ্ধান্ত নিল বিসিবি

হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে ফের ‘হাস্যকর’ সিদ্ধান্ত নিল বিসিবি

খেলা ডেস্ক

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২০:১১

তামিম ইকবালের অসুস্থতার পর মোহামেডানের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে খেলা ম্যাচে আম্পায়ারের শরফুদ্দৌলার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিলেন এই ক্রিকেটার। এরপর দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও ৮০ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানার কবলে পড়েছেন হৃদয়।

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এবং বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টস পাল্টিয়ে নাটকীয়ভাবে সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনে হৃদয়ের ক্লাব মোহামেডান। আবার আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার আপত্তিতে হৃদয়কে ফের নতুন করে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এবার শাস্তিতে পুনরায় হাস্যকর পরিবর্তন আনলো বিসিবি।

হৃদয়ের শাস্তিকে ‘হাস্যকর’ সম্বোধন করে যা বললেন তামিম

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হৃদয় তাঁর বাকি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করবেন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের পরের আসরের প্রথম ম্যাচে। তার মানে অবশিষ্ট শাস্তি পিছিয়ে গেছে এক বছর। অর্থাৎ বিসিবির এই সিদ্ধান্তের পর এবারের সুপার লিগে মোহামেডানের হয়ে বাকি দুই ম্যাচ খেলতে তাঁর আর কোনো বাধা নেই।

এর আগে হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধানের সঙ্গে আজ বিসিবি একাডেমিতে আলোচনা করেন তামিম ইকবাল। লম্বা সময়ের আলোচনা পর্ব শেষে বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের মতে, হৃদয়ের এমন শাস্তি মোটেও কাম্য নয়। 

ডিপিএলে নিষিদ্ধ হলেন হৃদয়, জরিমানার কবলে এবাদত

বিসিবি থেকে দেওয়া এমন শাস্তিকে তামিম ‘হাস্যকর’ বলেও সম্বোধন করেছেন। এবার চলতি মৌসুমের শাস্তি পরবর্তী বছরে পিছিয়ে পুনরায় হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

এদিকে বিকেলে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘তাওহিদ হৃদয়কে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। সেটা আবার ১ ম্যাচ কমিয়ে দিল বিসিবি। এরপর তাকে দুই ম্যাচ খেলতেও দিয়েছে। তাহলে শাস্তির বিষয়টি সেখানেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা শুনেছি, কাল তাকে আবার এক ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে আমাদের জানা নেই। এটা হাস্যকর। বিসিবি তাকে খেলতে দিয়েছে, আবার কিভাবে শাস্তি দেয়!’

ক্লাবের ক্ষমতা প্রদর্শনের পরেও নতুন করে নিষিদ্ধ হৃদয়

হৃদয়ের শাস্তি কমানোর পেছনে তার ক্লাব মোহামেডানের চাপ ছিল। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু এবং সিসিডিএমের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরী। তবে ক্লাব থেকে বিসিবিকে চাপ দেওয়াকে মুখ্য বিষয় মনে করছেন না তামিম ইকবাল।

তিনি বলেন, ‘মোহামেডান থেকে প্রেশার দিয়ে খেলানো হয়েছে কি হয়নি এটা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিসিবি তাকে খেলার অনুমতি দিয়েছে কি না। যদি বিসিবি অনুমতি দেয় তাহলে সে শাস্তি ভোগ করেছে। যে ছেলে তার শাস্তি ভোগ করে সে একই অপরাধের জন্য আবার কীভাবে শাস্তি পেতে পারে। এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বুঝিয়েছি আমরা কী ফিল করি। তারাও তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
 
এমআই