বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি বস হিসেবে পাপনের একচ্ছত্র রাজত্ব এই বছরেই শেষ হওয়ার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দেশত্যাগ করেছেন পাপন। এরপর বিসিবি সভাপতির পদ থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি।

পাপনের জায়গায় নতুন করে নিয়োগ পান বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বিসিবির ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সভাপতি হয়েছিলেন। তাতে ফারুককে ঘিরে ক্রিকেটের উন্নতির বড় স্বপ্ন দেখেছিল ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু সেই আশাও হয়তো গুঁড়েবালি।

বোর্ড সভাপতি হিসেবে মাত্র কয়েক মাস দায়িত্ব পালন করেই বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ফারুক। এর মধ্যে পেমেন্ট ইস্যুতে বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য বিতর্ক, বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে মনমালিন্য, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সঙ্গে বিতর্ক অন্যতম। তবে সম্প্রতি বিসিবির অর্থ স্থানান্তর নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ফারুক।

পাপনের আমলে বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা বিসিবির এফডিআরের টাকা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন বিসিবি সভাপতি। তাতেই ওঠেছে সমালোচনা। গুঞ্জন রটেছে, কাউকে না জানিয়ে ফারুক এই টাকা স্থানান্তর করেন। তবে বিসিবির বিবৃতি থেকে জানানো হয়, একাধিক বোর্ড পরিচালক এ বিষয়ে অবগত ছিলেন।

এবার বিসিবি সভাপতি টাকা স্থানান্তর নিয়ে নিন্দুকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের শো ‘ঠিকানায়’ এসেছিলেন বিসিবি সভাপতি। সেখানে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডে কোনো একটি কোয়ার্টারে দুর্নীতি যারা করেছে, এখনও চেষ্টা করছে আমাকে দমিয়ে রাখার। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ- ফারুক ভাইয়ের জন্য দুই চারটি কলাম লিখলে, দুইটা মিথ্যা কথা বলে বদনাম দিলে, ওই ধরনের লোক রিজাইন করে চলে যাবে।’

এদিকে সমালোচনার রেশে ডুবলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রিকেটের উন্নতি ছাড়া আমার আর কোনো এজেন্ডা নেই। এখানে ঐচ্ছিকভাবে খেলা হচ্ছে, এবার আমি চিন্তা করেছি নির্বাচন করতে। ছেড়ে দিলে তো সমস্যার সমাধান হলো না।’

এমআই