
১৪ ব্যাংকে কত টাকা স্থানান্তর করেছেন ফারুক?
খেলা ডেস্ক
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আমূল পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। দীর্ঘ সময় বিসিবির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পাপনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ফারুক আহমেদ। নতুন দায়িত্ব পেয়ে পরিবর্তনের নানান গল্প শোনালেও বাস্তবে তার প্রভাব বেশ কমই বলা চলে।
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে ফারুক সমালোচিত হয়েছেন বেশ। বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, বিপিএল আয়োজনে পেশাদারিত্বের অভাব, টিকিট বিক্রি নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ, দলের বাজে পারফরম্যান্স- সবমিলিয়ে চর্তুমুখী চাপে আছেন এই ক্রিকেটার।
এবার সেই সমালোচনায় যেন আরও রসদ জুগিয়েছেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ। বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের বড় অঙ্কের টাকা অন্য ব্যাংকে সরিয়েছেন তিনি। গুঞ্জন ছিল, ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ফারুক। তবে দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২০ কোটি নয়, ফিক্সড ডিপোজিট ১৪ টি ব্যাংকে মোট ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত আগস্ট থেকে বিসিবির এফডিআর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় লাভ হবে ক্রিকেট বোর্ডেরই। প্রথম ধাপে, আইএফআইসি আর মিডল্যান্ডের মতো হলুদ তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে মধুমতি ব্যাংকে। তবে ঐ দুই ব্যাংকের চেয়ে মধুমতি ব্যাংক থেকে ইন্টারেস্টের হার বেশি থাকায়, আয় বাড়বে বিসিবির।
দ্বিতীয় ধাপে নেয়া হয়েছে আরও ১০ কোটি, এবারও বিসিবির যুক্তি সেই সুদের হার। এরপর যথাক্রমে আরো বেশ কয়েক ধাপে, কখনো হলুদ, কিংবা কখনো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে নতুন ১৪ ব্যাংকে নেয়া হয়েছে মোট ২৫০ কোটি টাকা।
এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কেবল যে ইন্টারেস্ট রেট বেড়েছে এমন নয়, নতুন ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে স্পন্সরশিপ। এ ছাড়াও আছে ২৫ কোটি টাকার অবকাঠামোগত বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরো একটি গুঞ্জন, বোর্ড পরিচালকদের অনুমতি ছাড়া একাই টাকা সরানোর নিয়েছেন ফারুক। তবে এই গুঞ্জনও সত্যি নয় বলে দাবি করছেন বিসিবি সভাপতি। তার মতে, এই কাজে বিসিবির ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান ও আরো একজন প্রভাবশালী বোর্ড পরিচালক পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়েছে। তবে আমি কোথাও সাইন করি না। টাকাগুলো যে গেছে ওখানে, একটা নিউজ আসছে কেউ জানে না! অথচ সেখানে বিসিবির ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান এবং আরেকজন বোর্ড পরিচালক পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এসব ব্যাংকে ২-৫ শতাংশ বেশি সুদ দেয়া হয়েছে।’
‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে (২৩৮ কোটি) নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানিয়ে দিবে’-যোগ করেন তিনি।
এমআই