ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ দল। চলতি মাসেই আরব আমিরাত এবং পাকিস্তানে খেলতে যাবে শান্তরা। জুনে আবার বাংলাদেশে খেলতে আসবে পাকিস্তান। জুলাইয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাবে টাইগাররা। এরপর আগস্টে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ভারত।

আইসিসির পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশে তিন ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে রোহিত-হার্দিকরা। তবে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনায় বাংলাদেশে রোহিতদের আসা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাতে ভারতের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের এই গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এই সফর ক্যালেন্ডারের অংশ (পূর্ব নির্ধারিত) হলেও এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় দল যে বাংলাদেশে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে না, সেই সম্ভাবনাই বেশি।’

বাংলাদেশে ভারতের খেলতে না আসার পেছনে কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলাকে দায়ী করছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই হামলার কারণে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উভয় দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সফর করা সুবিধাজনক হবে না বলে মনে করছে বিসিসিআইয়ের কর্তারা। ফলে বাংলাদেশ সফর আপাতত স্থগিত হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘অফিসিয়ালি আমরা এখনো কিছু জানি না। আমাদের পরিকল্পনা এবং সূচি যেভাবে ছিল সেভাবেই আছে। আমরা এখন পর্যন্ত আশাবাদী, ঠিক সময়ই ভারত-বাংলাদেশ সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে।’

এদিকে ভারত-পাকিস্তানের চরম উত্তেজনার মাঝে বোমা ফাটিয়েছেন বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আ. ল. ম. ফজলুর রহমান। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেয়া।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এল এম ফজলুর রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যে মন্তব্য করেছেন তা তার ব্যক্তিগত অভিমত। অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই তার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে না।’

এমআই