চার-ছক্কার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটারদের আতঙ্কের নাম রশিদ খান। ৪৭২ ম্যাচে ১৬ গড়ে ৬৪১ উইকেট শিকারের পরিসংখ্যান রিশাদের পক্ষেই সায় দেয়। উইকেট সংখ্যায় পুরো বিশ্বে সবার ওপরে আছেন এই আফগান তারকা। ক্যারিয়ারের সিংহভাগ ম্যাচে কিপটে বোলিং আর উইকেট সংখ্যায় ধারাবাহিক ছিলেন রশিদ।

আইপিএলে এবার যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখছেন আফগান লেগ স্পিনার। গতকাল শুক্রবার গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৫০ রান খরচ করেছেন তিনি। এর মধ্যে এক ওভারের ৩টি ছক্কা হজম করেছেন টি-টোয়েন্টির সেরা বোলার। ওভারপ্রতি রান ১৬.৬৬। 

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ওভার প্রতি এত বেশি রান কখনো খরচ করেননি রশিদ খান। এর আগে সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং স্পেল ছিল গত আইপিএলে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১.৪ ওভারে খরচ করেছিলেন ২৫ রান। ওভারপ্রতি ব্যয় ছিল ১৫ রান। 

শুধু হায়দরাবাদের বিপক্ষে নয়, চলতি আইপিএলে রশিদের বোলিং যেন নখদন্তহীন। ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএলে ৬ মৌসুম খেলা রশিদ ওভারপ্রতি খরচ করেছেন সাতের কম রান। কিন্তু ২০২৩ ও ২০২৪ আসরে ওভারপ্রতি ৮.২৩ ও ৮.৪০ রান দিয়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি প্রায় দশ (৯.৫১) গড়ে রান বিলিয়েছেন তিনি!

এদিকে গতকাল মাত্র ৩ ওভার করেই ৬টি ছক্কা হজম করেছেন রশিদ খান। পুরো টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বেশি ছক্কা হজম করেছেন মাত্র ২ বার। ২০১৮ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে এবং ২০২৩ এসএ টোয়েন্টিতে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের বিপক্ষে ৭টি করে ছক্কার মার সামলেছেন তিনি।

যদিও উভয় ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করেছেন রশিদ খান। এবার তিন ওভার বল করেই ছক্কা হজমে কাছাকাছি অবস্থায় চলে গিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। রশিদের লজ্জার রেকর্ড গড়ার দিনে অবশ্য জিতেছিল তার দল। হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৩৮ রানে জিতেছে রশিদরা।

এমআই