পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলছেন রিশাদ হোসেন। পেশোয়ার জালমিতে খেলতে সম্প্রতি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাহিদ রানা। বল হাতে নাহিদের গতির ঝড় এখনো দেখা না মিললেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মনে দুশ্চিন্তার ঝড় বইছে।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিগত কয়েক সপ্তাহের চলমান উত্তেজনা গতকাল যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। গত মধ্যরাতে পাকিস্তানের ৯ জায়গায় আচমকা হামলা চালিয়েছে ভারত। বিপরীতে জবাব দিয়েছে পাকিস্তানও। তাদের পাল্টা আঘাতে এখন পর্যন্ত ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি গণমাধ্যমের। 

দুই দেশের তীব্র সংঘাত পাকিস্তান সুপার লিগে প্রভাব ফেলতে পারে। যেখানে বাংলাদেশের দুই তারকা নাহিদ রানা এবং রিশাদ হোসেন পিএসএলে খেলার জন্য অবস্থান করছেন। অনিশ্চয়তা আর যুদ্ধ দামামার দুশ্চিন্তার মাঝে এই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত ২৪ ঘণ্টায় চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বর্তমানে খেলা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং কল্যাণই বিসিবির প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয়।

এছাড়া পিএসএলে অংশ নেওয়া রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিসিবি। পাশাপাশি পিএসএল সিইও সালমান নাসিরের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এমনকি নিরাপত্তার বিষয়ে রিশাদ হোসেনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বিসিবি প্রধান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছে বিসিবি। বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ফারুক আহমেদের বোর্ড। পাশাপাশি চলমান উত্তেজনাও নজরে রাখা হবে।

উল্লেখ্য, পিএসএলে এখন পর্যন্ত লিগ পর্বে নাহিদের দলের বাকি আছে ২ ম্যাচ। আর রিশাদের দলের বাকি আছে ১ ম্যাচ। প্লে-অফ এবং ফাইনাল খেলা সাপেক্ষে তাদেরকে পাকিস্তানে থাকতে হতে পারে মে মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত। তবে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি বজায় থাকলে ততদিন হয়তো নাও দেখা যেতে পারে দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে। 

এমআই