Advertisement
Us Bangla Airlines
শেষ দশ ওভারে ১০০ রান করে জিতল বাংলাদেশ 

শেষ দশ ওভারে ১০০ রান করে জিতল বাংলাদেশ 

খেলা ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ১৮:১৪

৪০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ২০২। শেষ দশ ওভারে প্রয়োজন আরও ১০০ রান। আরিফুল-আহরারের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা ছিটকে যাচ্ছে। তবে ফসকে যেতে বসা ম্যাচটায় রসদ জুগিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দুই সেনা আকবর আলী এবং রকিবুল হাসান। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

ম্যাচে টাইগারদের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন আকবর আলী। বাকিদের মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের মাঝে আকবর আলী ছিলেন ব্যতিক্রম। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ২৪ বলে ৪১ রান করে আউট হয়েছেন ইমার্জিং দলের অধিনায়ক। আকবর আউট হওয়ার পরেও বাংলাদেশের জন্য ছিল কঠিন সমীকরণ। ম্যাচ জেতার জন্য ২০ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান।

কঠিন সমীকরণকে সহজ করে নিয়েছেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। ৪৯তম ওভারে টানা দুই ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এ বাঁহাতি। একই ওভারে রাকিবুলে সঙ্গী তোফায়েল আরেকটি ছক্কা হাঁকান। তাতে বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রান।

সহজ সমীকরণকে আরও সহজ করে দেন প্রোটিয়া বোলার। ওয়াইড আর বাই রানে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে অলরাউন্ডার তোফায়েল আরেকটি ছক্কা হাঁকালেও থার্ড আম্পায়ার না থাকায় সেটা ৬ হিসেবে গণনা করা যায়নি। শেষ ৩ বলে যখন ১ রান প্রয়োজন ছিল, তখন বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতান তোফায়েল। যেখানে রাকিবুল ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এদিকে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও জিশান আলম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫২ রান। ২৭ বলে ৩১ রান করে জিশান ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর তিন ও চারে নামা প্রীতম কুমার ও আরিফুল ইসলাম উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। উল্টো বেশ কিছু ডট বল খেলেছেন। যার প্রভাব পড়েছে রান রেটে।

মিডল অর্ডারে ব্যর্থ ছিলেন আহরার আমিন-মাহফুজুর রহমান রাব্বিরাও। এই দুজনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝেও এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রবিন। এই ওপেনার ভালো ব্যাটিং করলেও সাজঘরে ফিরেছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা সঙ্গী করে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৯ বলে ৮৭ রান।

রবিন ফেরার পর দলের হাল ধরেন আকবর আলি। অধিনায়ক যখন উইকেটে আসেন তখন রান রেট আর প্রয়োজনীয় রান রেটের মধ্যে পার্থক্য ছিল প্রায় ৫। উইকেটে এসেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গিয়ার পরিবর্তন করেন আকবর। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে পথে দেখান তিনি। যদিও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ২৪ বলে করেছেন ৪১ রান।

আকবরের পর একই মেজাজে ব্যাটিং করেছেন রাকিবুল। উইকেটে এসেই বড় শট খেলেছেন। তাতে সফল তিনি। ১০ বলে ৩ ছক্কায় করেছেন অপরাজিত ২৪ রান। রাকিবুলকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে অপরাজিত ২৪ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফ্রিকার শুরুটা ভালো হলেও এরপর হুট করে খেই হারায়। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। আহরার আমিনের জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল ম্যাচ। তবে এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন কনোর। দলীয় ১৩৩ রানে আবারও ভাঙে কনোর এবং এনড্রিলের জুটি। 

মূলত এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটারই দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। এক সময় মনে হচ্ছিল ২৫০ রানের পুঁজি পাবে দলটি। তবে শেষদিকে সেটিকে তিনশতে পরিণত করেছেন তিয়ান মিচায়েল এবং নকোবোনি। মিচায়েল খেলেছেন ১৫ বলে ২৬ রানের ক্যামিও।

বাংলাদেশের বোলাররা ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা অব্যাহত রাখতে পারেননি। দলের হয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রিপন মন্ডল, ৮৪ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া আহরার পিয়ান নিয়েছেন ২ উইকেট।

এমআই