
আম্পায়ার সৈকতকে ফেরাতে চায় বিসিবির নতুন বোর্ড
খেলা ডেস্ক
০৫ জুন ২০২৫, ১৩:৪৭
আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আইসিসির বড় মঞ্চে আম্পায়ার হিসেবে নিয়মিত মুখ এই বাংলাদেশি। এছাড়া হাইভোল্টেজ দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও সৈকতকে নিয়মিত দেখা যায়। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বাইশ গজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সৈকত নিজের সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছেন। ২০২৪-২৫ মৌসুমের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যশস্বী জয়সওয়ালের আউট নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন এই আম্পায়ার। এমনকি প্রোটিয়া সিরিজে নিঁখুত সিদ্ধান্তে আলোচনায় এসেছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে আলো ছড়ানো সৈকত বিসিবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সমাপ্ত ডিপিএলে ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় ফিল্ডিংয়ের সময় একটি আউট নিয়ে তর্কে জড়িয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর কারণে হৃদয়কে শাস্তিও দিয়েছিল বিসিবি।
শাস্তি পাওয়া হৃদয় এরপর গণমাধ্যমে আম্পায়ারিং নিয়ে উচ্চবাচ্য করেন। এমনকি ক্লাবের প্রভাবে বিসিবি অনিয়ম করে হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে দেন। নীতি অনিয়ম করে আম্পায়ারদের খর্ব করায় বিসিবির চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা।
পরবর্তীতে ডিপিএলসহ বিসিবির অন্য কোনো প্রতিযোগিতায় এই আম্পায়ারকে দেখা যায়নি। ফারুক আহমেদের সময় ঘটে যাওয়া এ কাণ্ডের পর বিসিবিতে এসেছে পরিবর্তন। বর্তমানে বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আইসিসির এই এলিট আম্পায়ারকে বিসিবিতে ফিরিয়ে আনতে চান তিনি।
সম্প্রতি দেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতকে নিয়ে আমিনুল বলেন, ‘সৈকত আমাদের জন্য একটা সম্পদ। আমি যখন আইসিসিতে কাজ করতাম, তখনো তার কাজ দেখে গর্ব হতো। সে এখন আইসিসির টিউটর হিসেবেও কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে এখন গাজী সোহেল, ম্যাক সুমন, মোরশেদ আলী খান সুমন, মুকুল, তানভীর, জেসি, মিশু। সবারই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরম্যান্স আছে। আমি যখন আইসিসিতে ছিলাম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে, তাদের প্রতিবেদনগুলো পড়তাম। খুব ভালো লাগত। তাই সৈকতের মতো একজন নীতিবান মানুষকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করব।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আম্পায়ারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ইফতেখার রহমান মিঠু দারুণ কাজ করছেন। তিনি নিজেও ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। আম্পায়ারিং বিভাগ দুই বছর আগেও ছিল সবচেয়ে খারাপ। তবে এখন সেখানে গর্ব করার মতো অনেক কিছুই হচ্ছে।’
এমআই